মোবাইল ফোনে দুদকের তদন্তকারী পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দীন ওরফে ফয়সল রানা নামের এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নারায়ণগঞ্জে ভূমি সহকারী মো. আবদুল জলিলকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই চক্র। গতকাল দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানের হোটেল রাজধানীর সামনে থেকে দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদিন শিবলীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম তাকে চাঁদাসহ গ্রেফতার করেছে। রাজধানীর পল্টন থানায় ভুক্তভোগী আবদুল জলিল তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফয়সল রানা সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে মোহাম্মদ ফয়জুল বলে দাবি করেছেন। বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ। মামলার এজাহার সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিলের কাছে ফয়সল রানা নিজেকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তার বিরুদ্ধে দুদকে উত্থাপিত অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে হলে সাত লাখ টাকা দাবি করেন। না হলে ফয়সল রানা আবদুল জলিলের মামলার চার্জশিট দেবে। এতে মো. আবদুল জলিল চাকরি হারাবেন। দুদক জানায়, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা চাকরি হারানোর ভয়ে দুদকের কথিত তদন্তকারী কর্মকর্তা ফয়সল রানাকে প্রায় দুই মাস আগে ২ লাখ টাকা প্রদান করেন। কিছুদিন পর আরও ২০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করেন। সর্বশেষ প্রতারক ফয়সল রানা আবদুল জলিলের কাছে বাকি ৫ লাখ টাকা দাবি করলে একইভাবে ফয়সালের আরেক সহযোগী দুদকের ভুয়া ইন্সপেক্টর সোহেলকেও দুই কিস্তিতে ৩৫ হাজার টাকা ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দেন। স্বপনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার গাওছিয়া এলাকায়।