শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

খুলনায় হাতে হাতে শুধুই বাংলাদেশ প্রতিদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় হাতে হাতে শুধুই বাংলাদেশ প্রতিদিন

খুলনায় পাঠক চাহিদার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। যত দিন যাচ্ছে চাহিদা আরও বাড়ছে। মহানগর থেকে প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত সমান জনপ্রিয়তা রয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিনের।

খুলনার সংবাদপত্র বিক্রেতারা বলছেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সব ধরনের পাঠকের পত্রিকা। আঞ্চলিক সংবাদের পাশাপাশি রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন, আন্তর্জাতিক সব বিষয়ের সংবাদ পেতে চান মানুষ। এইসঙ্গে ঝকঝকে ছাপায় সংক্ষিপ্ত পরিসরে সব সংবাদ থাকায় পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। খুলনায় পত্রিকা বিক্রয় এজেন্ট পাটোয়ারী নিউজ এজেন্সির স্বত্বাধিকারী সেকেন্দার আলী পাটোয়ারী বলেন, ‘বর্তমানে খুলনায় বাংলাদেশ প্রতিদিন বেশি চলে। দাম কম, লেখা ভালো। অনেকের সম্বল নাই ১০ টাকা দিয়ে পত্রিকা কিনবে। ৫ টাকা দিয়ে পত্রিকা কিনলে তাদের জন্য লাভ।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে পত্রিকা নিয়ে আসা গাড়ির সঙ্গে বিক্রির সংযোগ। গাড়ি তাড়াতাড়ি এলে হকাররা তাড়াতাড়ি নিয়ে যান। আর গাড়ি দেরিতে আসলে কাগজ দেরিতে যাবে।’ খুলনা পেপার হাউসের ব্যবস্থাপক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সাধারণত দুপুরের মধ্যেই বাংলাদেশ প্রতিদিন বিক্রি হয়ে যায়। এতে ভালো নিউজ থাকে। কিন্তু কোনো কারণে একদিন পত্রিকা বিক্রি না হলে নির্দিষ্ট চুক্তির বাইরে মালিক পক্ষ অবিক্রীত পত্রিকা ফেরত নিতে চান না। এ জন্য চাহিদা থাকলেও অনেকে পত্রিকা বাড়াতে সাহস পান না।’ খুলনা মহানগরীর হকার শহিদুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ প্রতিদিন অবিক্রীত থাকে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের তো লাইনের কাস্টমার, হিসাব করা কাস্টমার। সকালে কাগজ আসলে তাড়াতাড়ি বিলি করতে পারি।’ পুরাতন যশোর রোডের পত্রিকা বিক্রেতা মোহাম্মদ নজু বলেন, ‘হকাররা বাড়ি বাড়ি কাগজ দেয়। আর আমরা পথে ঘাটে যারা চলাচল করেন, তাদের কাছে পত্রিকা বিক্রি করি। সাধারণত ১০টা-১২টার মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন বিক্রি হয়ে যায়। শীর্ষে থাকার কারণ হচ্ছে, রাজনৈতিক দলের নিউজ, আঞ্চলিক ও জাতীয় নিউজ থাকে। গেটআপ, মেকআপ ভালো। ৫ টাকায় অনেক নিউজের কারণে বাংলাদেশ প্রতিদিন পাঠকের মন জয় করে নিয়েছে।’ পত্রিকার মূল্যায়ন করতে গিয়ে খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন সারা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলে। কোনো ঘটনার পজিটিভ দিক তুলে ধরে পত্রিকাটি সংকট নিরসনের পরামর্শ দেয়। সংবাদের বিষয়বস্তু ও লেখার টেকনিক আলাদা। এসব কারণে বাংলাদেশ প্রতিদিন বেশি চলে। অল্প কথার মধ্যে বলা যায়, সব ধরনের নিউজ থাকে। অল্পের ভিতরে অনেক কিছু জানা যায়।’

সর্বশেষ খবর