মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
মন্ত্রিসভা বৈঠক

নাম পাল্টাচ্ছে ট্যারিফ কমিশনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব রেখে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন ২০১৮ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এই আইন সংশোধনের মাধ্যমে ট্যারিফ কমিশনের নাম পাল্টে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ১৯৭৩ সালে একটা রেজুলেশনের মাধ্যমে ট্যারিফ কমিশন শুরু করা হয়। পরে ১৯৯২ সালে প্রণীত আইনের কিছুটা সংশোধন করে নতুন আইন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে ‘ট্রেড’ শব্দটি যোগ করে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’ নামকরণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত সংশোধিত আইনে। এদিকে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে সামনে রেখে সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভায় থাকা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই দিন বিকালেই তারা পদত্যাগপত্র জমা দেন। কিন্তু তাদের পদত্যাগপত্র জমা হলেও তারা এখনো সরকারের মন্ত্রিসভায় আছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী পদত্যাগপত্র দিলেও তা গ্রহণ করে গেজেট জারি না হওয়া পর্যন্ত তাদের মন্ত্রিত্ব বহাল থাকবে। আর নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারের’ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট কোনো ঘোষণা না এলেও তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ‘এই সরকারের’ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, শিডিউল ঘোষণার শুরু থেকেই বলতে হয়, এই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার। সরকার রেগুলার সরকারই আছে। নির্বাচনকালীল বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের দেওয়া নাম, এগুলো কিন্তু কনস্টিটিউশনাল নাম নয়। কনস্টিটিউশনে ওভাবে লেখা নেই আসলে, এমনিই। আরেক প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদনে কোনো বাধা নেই। আইন অনুমোদন ক্যাবিনেটের কার্যক্রমের মধ্যেই পড়ে, রুটিনই বলা যায় এটা। এটাতে কোনো উন্নয়ন প্রকল্পকে স্পর্শ করে না।

সর্বশেষ খবর