মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

হবিগঞ্জে দুপুরের আগেই শেষ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জে দুপুরের আগেই শেষ

হবিগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার সংবাদপত্র এজেন্ট ও বিক্রেতারা জানান, দেশের সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাঠক হবিগঞ্জ সদর ও নয়টি উপজেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা জানান, পাঠক চাহিদার কারণে বেলা দেড়টার মধ্যে বাংলাদেশ  প্রতিদিন বিক্রি শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশ প্রতিদিন অন্যান্য পত্রিকার চেয়ে বেশি বিক্রির কারণ সম্পর্কে এজেন্ট ও হকাররা বলেন, পত্রিকাটির গুণগতমান  ভালো। সংক্ষেপে সব খবর পড়ে নিতে পারেন পাঠক। সব পাঠকের চাহিদামাফিক এতে সব বিভাগ রয়েছে। সেইসঙ্গে দাম কমের কারণে পত্রিকাটির বেশি কাটতি রয়েছে বলে তারা মনে করেন। তারা আরও জানান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের অবিক্রীত সংখ্যা ফেরত নেওয়া হয় না। এদিকে যারা ফেরি করে বিক্রি করেন তার মধ্যে ফারুক মিয়া, ফজল মিয়া, এমরান মিয়া, রাফি মিয়াসহ অনেকের সঙ্গে আলাপ হলে তারা জানান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রচুর চাহিদা রয়েছে কিন্তু সে অনুযায়ী পত্রিকা ডেলিভারি পাই না। তারা অভিযোগ করেন, শায়েস্তাগঞ্জের গোলচত্বরে এজেন্টের মাধ্যমে হবিগঞ্জ শহরে বিলম্বে তো পত্রিকা পৌঁছেই, তার পরও পত্রিকার বান্ডিল থেকে ৮-১০টি পত্রিকা চুরি হয়ে যায়। সরাসরি গাড়িতে করে হবিগঞ্জ শহরে পত্রিকা পৌঁছে দিলে পত্রিকা চুরি হবে না। হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকার সংবাদপত্র এজেন্ট সাফিয়া খাতুন বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন হবিগঞ্জ জেলা শহরে পৌঁছে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে। অন্যান্য পত্রিকা ভোর ৫টার মধ্যেই পৌঁছে যায়। যেমন প্রথম আলো ভোর ৪টা ৩০ মিনিটের মধ্যে তাদের নিজস্ব গাড়িতে হবিগঞ্জ শহরে পত্রিকা পৌঁছে দেয়। বাংলাদেশ প্রতিদিন তাদের নিজস্ব গাড়িতে ভোর সাড়ে ৪টার মধ্যে পৌঁছে দিলে পাঠকের চাহিদামাফিক আমরা পত্রিকা বিক্রি করতে পারব এবং পত্রিকার বিক্রি দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। হবিগঞ্জ শহরের বাদল এজেন্সির বাদল রায়ও একই কথা জানান। বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজস্ব গাড়িতে হবিগঞ্জ শহরে পত্রিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। শায়েস্তাগঞ্জ গোলচত্বরের প্রধান এজেন্ট তারা মিয়া জানান, চাহিদামাফিক পত্রিকা ডেলিভারি পাই না এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রচুর হকার ও পাঠক রয়েছেন। পত্রিকা সরবরাহ বৃদ্ধি করলে বিক্রিও বেড়ে যাবে। হবিগঞ্জ পত্রিকা হকার সমিতির সভাপতি কামাল মিয়া জানান, বাংলাদেশ প্রতিদিন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের কারণে হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে কয়েক লক্ষাধিক পাঠক রয়েছে। স্থান বুঝে এজেন্ট সংখ্যা বৃদ্ধি করলে পত্রিকা বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর