বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বাম জোট

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বাম গণতান্ত্রিক জোট।  রাজধানীর পুরানা পল্টনে গতকাল কমরেড মণি সিংহ রোডের মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জোট নেতারা এ কথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম  সেলিম ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এ সময় বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের আবদুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর মানস নন্দী, গণসংহতি আন্দোলনের জুলহাসনাইন বাবু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয় দ্রুত নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা পুরো সংলাপ প্রক্রিয়াকে বিনষ্ট করে ফেলল। রাজনীতি এখন তফসিলকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। আমরা যে যুক্তিসঙ্গত দাবি উত্থাপন করেছি তা কার্যকর করা ছাড়া অবাধ-গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্ভব নয়। দাবিসমূহ সমাধান না করে নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের ঘোষণা একতরফা নির্বাচনের জন্য সরকারের ফাঁদ। অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাম গণতান্ত্রিক জোট উত্থাপিত ৮ দফা ও ৭-দফা বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করুন। জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান দেশ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষায় নিজেদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে জাগ্রত হোন। টাকার খেলা, পেশিশক্তি, সাম্প্রদায়িকতা ও যে কোনো ধরনের প্রশাসনিক কারসাজির বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখুন। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী সংগ্রামে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখতে চাই। কিন্তু তা নির্ভর করবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কার্মকাণ্ড ও আচরণের ওপর। আমরা আশা করব সরকার ও নির্বাচন কমিশন তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা ও দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে সব দল ও ব্যক্তির অংশগ্রহণ ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে।

এমন কোনো ভূমিকা পালন করবে না যাতে আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে বাধ্য হই। আমরা মনে করি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকা না থাকা নির্ভর করবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ড ও আচরণের ওপর। সাইফুল হক বলেন, দেশের নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের অতীত অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে ষড়যন্ত্রকারীরা উৎসাহিত হয়। ক্ষমতার খেলার অংশ হিসেবে শাসকগোষ্ঠী আরও নানা ধরনের কূটকৌশল গ্রহণ করে। এ ধরনের পরিস্থিতি সম্পর্কে দেশবাসী সজাগ না থাকলে কী পরিস্থিতি হয় তার দুঃখজনক ইতিহাস আমাদের জানা আছে। আসন্ন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ভূমিকা যাতে আর বিতর্কিত না হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারকেই গ্রহণ করতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর