বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত ১৫০ রোহিঙ্গা

শেষ মুহূর্তে অনিশ্চয়তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত ১৫০ রোহিঙ্গা

প্রত্যাবাসনের জন্য ৩০টি রোহিঙ্গা পরিবারের ১৫০ জনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে তাদের ফিরে যাওয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আজই শুরু হতে পারে প্রত্যাবাসন। তবে এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।

গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুতির বিষয়ে জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম। তবে ইউএনএইচসিআরের (জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা) রিপোর্ট পেলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ইউএনএইচসিআর মুখপাত্র ফিরাজ আল খাতিব বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার পরিবেশ আছে, এটা আমরা মনে করছি না। আমরা জানার চেষ্টা করছি তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় যেতে চান কিনা। কাজটি এখনও শেষ হয়নি।

জানা গেছে, প্রথমে টেকনাফের কেরুনতলী ঘাট দিয়ে নাফ নদ পার হয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল। পরে মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ করে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ দুপুরের দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম পয়েন্টে স্থলপথ দিয়েই প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়া এখনও নিশ্চিত নয়।

আবুল কালাম বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের জানিয়েছে তারা যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রত্যাবাসনের সময় সে দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীও উপস্থিত থাকতে পারেন।’

আনুষ্ঠানিকতা কী হতে পারে— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুরো প্রক্রিয়াটিই আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের পাঠাব, তারা মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গ্রহণ করবেন। এ ছাড়া ভেরিফিকেশনের কিছু বিষয় আছে। চিরাচরিত আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’

এ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সম্মতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে তারা এখনো কিছু জানায়নি। আমরা সেই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। তাদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।’

 

সর্বশেষ খবর