শিরোনাম
শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নির্বাচন কমিশনকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে

—মুনিরা খান

নির্বাচন কমিশনকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে

রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও একটি রাজনৈতিক দলের কমিটিতে নারী কর্মীদের উপস্থিতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতা তৈরির মাধ্যমেই বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন সম্ভব। আর এটি বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজনীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণের মনোভাব নিয়ে নয় বরং আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যারা মনোনয়ন ফরম কিনেছেন তারা বিষয়টিকে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য শুধু একটি ‘বাড়তি যোগ্যতা’ হিসেবে বিবেচনা করছেন। এমনকি এবার নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ আগের তুলনায় আরও বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করতে যে আন্দোলন হওয়ার কথা ছিল তাও এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্সের (ফেমা) প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। মুনিরা খান বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী একটি দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ পদে নারী নেতৃত্ব রাখার কথা। কিন্তু আসছে নির্বাচন উপলক্ষে ৩৩ শতাংশ দূরের কথা ৩ শতাংশ নারী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কোনো একটি আসনে একজন পুরুষ জনপ্রতিনিধির মৃত্যু হলে তার স্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল সেই দায়িত্ব পালন করতে দেয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যখন বুঝতে পারে যে একটি আসনে ভবিষ্যতে একজন নারী প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তিনি নির্বাচিত হতে পারবেন কেবল তখনই দলটি সেই নারীকে দলে সুযোগ দেয়। ফেমা প্রেসিডেন্ট বলেন, আসন্ন নির্বাচনে যে নারীরা মনোনয়ন ফরম কিনেছেন তারা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায়নের জন্য নয় বরং বিষয়টিকে নিজেদের ক্যারিয়ারের জন্য বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করছেন। পৃথিবীর যেসব দেশে যথাযথভাবে রাজনৈতিক চর্চা হয় সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা থেকেই যোগ্য নারীরা দলগুলোয় প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, এবারের জাতীয় নির্বাচনের আগে নারীদের রাজনৈতিক দলগুলোয় নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে কোনো ধরনের আন্দোলনই করতে দেখিনি।

এ ক্ষেত্রে রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে নারীদের নিজেদের যে ধরনের আগ্রহ থাকার কথা ছিল তাও দেখতে পারিনি। মুনিরা খান বলেন, নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য নির্বাচন কমিশনকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। আরপিও অনুযায়ী দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ পদে নারীদের নেতৃত্বের বিষয়টি যদি বাস্তবায়ন করা না যায় সে ক্ষেত্রে অন্তত ১০ শতাংশ আসনে নারী নেতৃত্ব রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে বাধ্যবাধকতা দিতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষকে উপর থেকে চাপ দিতে হবে।

সর্বশেষ খবর