শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

চাই নারীর ব্যাপক উপস্থিতি সম্পন্ন সংসদ

—অধ্যাপক খুরশীদা বেগম

চাই নারীর ব্যাপক উপস্থিতি সম্পন্ন সংসদ

‘আমি চাই নারীর ব্যাপক উপস্থিতিসম্পন্ন, বিতর্কবহুল এবং প্রাণবন্ত জাতীয় সংসদ। যেখানে নারীরা তাদের সমস্যা চিহ্নিত করবেন এবং সে অনুযায়ী নিজেরাই আইন প্রণয়ন করবেন। যে আইনের সুফল পাবে গোটা দেশ। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত হবে আবেগতাড়িত না হয়ে যোগ্য, দক্ষ নারীকে মনোনয়ন দেওয়া।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক খুরশীদা বেগম রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীর অবস্থান, সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেওয়া, সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়ে কথা বলেন। অধ্যাপক খুরশীদা বেগম বলেন, রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের বিষয়টিকে আমি তিনটি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি। প্রথমত. নারীর চোখে দেশকে দেখা, দ্বিতীয়ত. নারীর চোখে বিশ্ব দেখা এবং তৃতীয়ত. নারীর চোখে নারীর সমস্যাকে দেখা। এই তিন দৃষ্টিভঙ্গিকে এক সমান্তরালে এনে নারী-পুরুষ সবার সমস্যার সমাধান করে রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ জরুরি। আর এ জন্য আইন প্রণয়নে নারীকে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলেই এবার অন্যান্যবারের চেয়ে বেশি নারী মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। এ থেকে আমি আশাবাদী। আমাদের নারীরা যত বেশি সরাসরি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসবেন, যত বেশি সংসদে ভূমিকা রাখবেন, তত বেশি নারীর জন্য মঙ্গল। পুরুষের পেশিশক্তি এবং কালো টাকার কাছে হেরে যাওয়ার ঘটনা যেন না ঘটে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এ ছাড়া শুধু আবেগতাড়িত হয়ে মনোনয়ন দিলেই হবে না, কাকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে, তিনি আইন প্রণয়নসহ সংসদে ভূমিকা পালন করার মতো কতটা যোগ্য- এ বিষয়গুলোও বিবেচনায় আনা উচিত। যোগ্যদের মনোনয়ন না দেওয়া হলে আলটিমেটলি দলেরই ক্ষতি হবে।  ‘ব্রিটিশ আমল থেকেই এদেশের নারীরা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত’ মন্তব্য করে এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, রাজনীতিতে নারীরা নিজেদের যোগ্যতা এবং দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। ’৭১-এ নারীরা রণাঙ্গনে পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছেন। এখন সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন, আইন প্রণয়ন করছেন। তবে হতাশাজনক চিত্রও রয়েছে। সংসদে সবাই যে আইন প্রণয়নে যোগ্য এবং দক্ষ এটা ভাবা ঠিক নয়।

সর্বশেষ খবর