শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও আশাব্যঞ্জক নয়

—ড. সাদেকা হালিম

নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও আশাব্যঞ্জক নয়

‘আগের তুলনায় রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেলেও তা আশাব্যঞ্জক নয়। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী একটি দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ পদে নারী নেতৃত্ব রাখার কথা। কিন্তু একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য আরপিও অনুযায়ী ৩৩ শতাংশের হিসাবে যতসংখ্যক নারী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন, তা তুলনামূলক কম। আবার রাজনৈতিক দলগুলোতে আমরা হাতেগোনা যে কজন নারী নেতৃত্ব দেখছি, তাদের অধিকাংশই রাজধানীমুখী। রাজনীতিতে তৃণমূল নারীর সংখ্যা খুব কম।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। সাদেকা হালিম বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোতে রুপালি জগতের অনেক অভিনেত্রীকে রাজনীতি করতে দেখা যায়। ভারতের মতো বাংলাদেশেও আসছে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দেশের অনেক অভিনেত্রীকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে দেখা গেছে, যা নতুন চমক সৃষ্টি করবে। এই অধ্যাপক বলেন, নারী নেতৃত্বের মধ্যে যারা নিবেদিতপ্রাণ, তাদের তৃণমূল থেকে উঠে আসার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে বিভিন্ন খাতে নারীরা এগিয়ে গেলেও রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো কথায় আধুনিক হলেও কাজে তার প্রমাণ মিলছে না। সাদেকা হালিম মনে করেন, দেশে রাজনীতির সুষ্ঠু বিকাশ না হওয়ার কারণেই নারীরা এখনো রাজনৈতিক মাঠে পুরুষের তুলনায় পিছিয়ে আছে। আর এমন চলতে থাকলে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কমিটিতে ৩৩ শতাংশ পদে নারী নেতৃত্ব পূরণ করার বিষয়টিও কঠিন হয়ে পড়বে। সাদেকা হালিম বলেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো যেন নারীদের মনোনয়ন দিতে আগ্রহী হয়, এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রয়োজনে এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নারীকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসতে পারে। তবে এখনো যেহেতু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে কিছু সময় বাকি আছে, এ জন্য নারীদের গুরুত্বসহকারে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের বিবেচনা করা উচিত।

সর্বশেষ খবর