শিরোনাম
শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শেকড়ের সুরে জমেছে লোকসংগীত উৎসব

মোস্তফা মতিহার

শেকড়ের সুরে জমেছে লোকসংগীত উৎসব

মাটির গানের হৃদয়জুড়ানো কথা ও সুরে আবহমান বাংলার পাশাপাশি উপমহাদেশের লোকসংগীতকে তুলে ধরার প্রত্যয়ে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আবারও বসেছে তিনদিনের ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসবে’র আসর। সান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে গতকাল সন্ধ্যায় শুরু হয় উৎসবের চতুর্থ আসর। গানের জন্য শ্রোতাদের ছিল অধীর প্রতীক্ষা। আর এই সময়েই নাচ নিয়ে মঞ্চে আসেন ভাবনা নৃত্যদল। মূলত নাচের এই দলটির পরিবেশনা দিয়েই শুরু হয় তিন দিনের এ আসর। সামিনা হোসেন প্রেমার কোরিওগ্রাফিতে একদল নাচের শিল্পী লোকনাচের নানা মাধ্যম তুলে ধরেন উদ্বোধনী সন্ধ্যায়। এরপর মঞ্চে আসেন আড়বাঁশি দিয়ে সংগীতের অঙ্গনে নিজের অভিষেক ঘটান মাতাল কবি আবদুর রাজ্জাকের শিষ্য নারায়ণগঞ্জের বাউল আবদুল হাই দেওয়ান। ‘মাগো মা ঝিগো’ দিয়ে শুরু করে ‘ঘরখানা বান্দিয়াছো কি কৌশলে’ ‘চিঠি দিও পত্র দিও’ ‘ভালোবাসিয়ারে বন্ধ’ুসহ বেশকটি গান দিয়ে প্রায় আধাঘণ্টা সুরের আসরকে মাতিয়ে রাখেন তিনি। পরিবেশনাটির পর মঞ্চে আসে পোল্যান্ডের আন্তর্জাতিকখ্যাতি সম্পন্ন ব্যান্ড ‘দিকান্দা’। বলকান ও জিপসী প্রভাবের এ দলটি তাদের নিজস্ব লোকজন সুরের সঙ্গে ওয়েস্টার্নের মিশেলে সুরের আসরকে শৈল্পিক করে তোলেন। লোকজ সুরের পাশাপাশি বলকান, ইসরায়েল, কুর্দি, বেলারুশ, ইন্ডিয়ান ফোক মিউজিকে সুরের এই আসরকে বৈচিত্র্যময় করে তোলেন গানের দল ‘দিকান্দা’। তাদের মঞ্চ ত্যাগ করার পর সুরের ডালা নিয়ে মঞ্চে আসেন কলকাতার সাত্যকি ব্যানার্জি। নিজের জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আর্মি স্টেডিয়ামে আগত শ্রোতাদেরকে বিমোহিত করেন এ শিল্পী। রাতের সবশেষের পরিবেশনায় হাজির হন পাঞ্জাবের দুই ভাই ওয়াদালি ব্রাদার্স। সংগীতের এই মহাযজ্ঞে সুর সুরের ঝর্ণধারা বইয়ে দিয়ে এই দুই ভাই  আর্মি স্টেডিয়ামের কোনায় কোনায় সুরের ধারা বইয়ে দেন। এই দুই ভাইয়ের সুরের খেলার মধ্য দিয়েই উদ্বোধনী রাতের সমাপ্তি ঘটে। উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে স্কয়ার। এটি সরাসরি সম্প্রচার করছে মাছরাঙা টেলিভিশন।

সর্বশেষ খবর