শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রুনা লায়লার জন্মদিন

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

রুনা লায়লার জন্মদিন

উপমহাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন আজ। এবার এ দিনটি তিনি কলকাতায় একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে পালন করছেন।

জন্মদিন প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, ‘এবারের জন্মদিনে চাইলেও ঢাকায় থাকতে পারিনি। একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কলকাতায় আসতে হয়েছে। জন্মদিনে আমি আমার মুরব্বিদের কাছ থেকে আশীর্বাদ কামনা করছি। সবাই আমার জন্য   দোয়া করবেন— যাতে আমি সুস্থ থাকি, ভালো থাকি। আরও ভালো কিছু গান যেন গাইতে পারি। যত দিন বাঁচি সম্মান নিয়ে যেন বাঁচতে পারি। কারণ একজন শিল্পীর জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন তো সম্মানই।’ প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে রুনা লায়লা একজন সংগীত পরিচালক হিসেবেও নিজের অভিষেক ঘটিয়েছেন। নায়ক, প্রযোজক, পরিচালক আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’তে রুনা লায়লার সুরে আঁখি আলমগীর একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত রুনা লায়লা চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার কারণে পেয়েছেন ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৭৭ সালে আবদুল লতিফ বাচ্চু পরিচালিত ‘যাদুর বাঁশি’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এরপর তিনি একই সম্মাননায় ভূষিত হন ‘একসিডেন্ট’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘তুমি আসবে বলে’, ‘দেবদাস’, ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাকের জন্য। দেবু ভট্টাচার্যের সুরে করাচি রেডিওতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রথম রুনা লায়লার কণ্ঠে বাংলা গান শোনা যায়। ‘নোটন নোটন পায়রাগুলো’, ‘আমি নদীর মতো কতো পথ পেরিয়ে’ গান তার কণ্ঠে শোনা গেছে। তবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে রুনা লায়লা প্রথম প্লে-ব্যাক করেন ১৯৭০ সালে নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘স্বরলিপি’ চলচ্চিত্রে সুবল দাসের সুর সংগীতে। ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে বলো কী হবে’ গানটিতে কণ্ঠ দেন তিনি। দেশে আসার পর ১৯৭৬-এ প্রথম প্লে-ব্যাক করেন নূরুল হক বাচ্চু পরিচালিত ‘জীবন সাথী’ চলচ্চিত্রে। এর সুর সংগীত পরিচালনা করেছিলেন সত্য সাহা। রুনা লায়লার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গেয়েছিলেন খন্দকার ফারুক আহমেদ। গুনী এই সংগীতশিল্পী ১৮টি ভাষায় গান গাইতে পারেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর