মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
খালেদা চাইলে হাসপাতালে নেওয়ার নির্দেশ

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা স্থগিত চেয়ে আপিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাই কোর্টের দেওয়া ১০ বছরের সাজার রায় স্থগিতের আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা। গতকাল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদন করা হয়। সেই সঙ্গে খালেদা জিয়ার জামিনের জন্যও আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘একটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভুয়া মামলার রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। বিচারিক আদালতের এ রায়ের   বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। ভেবেছিলাম এখানে প্রতিকার পাবেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে হাই কোর্টে এ মামলার শুনানির জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হলো। পাক-ভারত উপমহাদেশে এটা নজিরবিহীন ঘটনা। এ ছাড়া আমরা আমাদের আপিল শুনানি শেষ না করার আগেই রায়ের দিন ঘোষণা করা হলো। দুদকের সাজা বাড়ানোর আবেদনেও আমরা শুনানি কমপ্লিট করতে পারিনি। সে অবস্থায়ই রায় ঘোষণা করা হলো।’ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করার পরদিন অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাই কোর্টের রায় স্থগিতের এ আবেদন করা হলো।

বিদেশ থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলার রায়ে ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। ওই রায়ের পর থেকেই তিনি কারাগারে আছেন। বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল এবং দুদকের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি করে ৮ নভেম্বর রায় দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ। তাতে খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের এ মামলা করা হয়েছিল ২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে।

খালেদা চাইলে ফের হাসপাতালে নেওয়ার নির্দেশ : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চাইলে তাকে ফের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এর আগে রবিবার এ-সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য সোমবার দিন ঠিক করেছিল আদালত। আদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। এর আগে খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১১ নভেম্বর রিট দায়ের করেন আইনজীবী নওশাদ জমির। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে নির্দেশনা চেয়ে এর আগে খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদনটি ৪ অক্টোবর নিষ্পত্তি করে কিছু নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণসহ আদেশ দেয় হাই কোর্ট। হাই কোর্টের আদেশের পর চিকিৎসার জন্য ৬ অক্টোবর তাকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়। এর পর থেকে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রায় এক মাস চিকিৎসার পর ৮ নভেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে তাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর