বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সিরাজগঞ্জে প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত পাঠকের হাতে হাতে

আবদুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত পাঠকের হাতে হাতে

সিরাজগঞ্জে জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাঠকের হাতে হাতে এখন বাংলাদেশ প্রতিদিন। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করায় সিরাজগঞ্জে পত্রিকাটি পাঠক চাহিদার শীর্ষে অবস্থান করছে। অন্যান্য জাতীয় দৈনিকগুলোর চাহিদা কমলেও বাংলাদেশ প্রতিদিনের চাহিদা এ জেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে। সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রতিদিন পাঁচ হাজার ৬৬৫ কপি বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ শহর ও শহরতলিতে এজেন্ট আমির হোসেনের মাধ্যমে দুই হাজার ১০০ কপি, উল্লাপাড়া উপজেলায় আবদুল খালেকের মাধ্যমে ৯৬৫ কপি, সলঙ্গায় ফজলুল হকের মাধ্যমে ৮০০ কপি, রায়গঞ্জ উপজেলায় নুরুল ইসলামের মাধ্যমে ৪৬০ কপি, বেলকুচি-চৌহালীতে দৌলতের মাধ্যমে ৬৫০ কপি, শাহজাদপুরে সন্তোষের মাধ্যমে ৫৭০ কপি, তাড়াশে হাফিজুলের মাধ্যমে ৬০ কপি ও কাজীপুরে পার্শ্ববর্তী শেরপুর উপজেলার এজেন্টের মাধ্যমে ৬০ কপি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৭টায় ঢাকা থেকে পত্রিকা সিরাজগঞ্জে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সব কপি গ্রাহকের হাতে পৌঁছে যায়। বেলা ১২টার পর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। সিরাজগঞ্জ শহরের প্রধান এজেন্ট আমির হোসেন জানান, সিরাজগঞ্জে অন্যান্য পত্রিকার চেয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের চাহিদা বেশি। পাঠকরা পত্রিকাটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছেন। উল্লাপাড়ার এজেন্ট আবদুল খালেক জানান, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাঠকের হাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের কপি চলে যায়। অন্যান্য কাগজ অবিক্রীত থাকলেও বাংলাদেশ প্রতিদিনের কপি কোনো কোনো দিন শর্ট পড়ে। বেলকুচি-চৌহালীর এজেন্ট দৌলত হোসেন জানান, এখানে পাঠকদের প্রথম পছন্দের তালিকায় বাংলাদেশ প্রতিদিন। এরপর অন্যান্য পত্রিকা। রায়গঞ্জের এজেন্ট নুরুল ইসলাম জানান, শুরু থেকেই বাংলাদেশ প্রতিদিন পাঠকের কাছে প্রিয় পত্রিকা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহরের ইলিয়ট ব্রিজের কোনায় ৩০ বছর ধরে পত্রিকা বিক্রি করেন শামীম হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রায় সব পত্রিকাই কোনো দল বা গোষ্ঠীর লেজুড়বৃত্তি করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিদিন নিরপেক্ষতা ধরে রাখায় পাঠক চাহিদার শীর্ষে এ পত্রিকাটি। এ ছাড়া হকার শাহিন রেজা, গোলাম মোস্তফাও একই মন্তব্য করেন। সিরাজগঞ্জ হকার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রায় ৫০ জন হকার রয়েছে। প্রত্যেকেই বাংলাদেশ প্রতিদিন বিক্রি করে থাকে। যে যতকপি নেয় সবগুলোই বিক্রি করে ফেলে। অন্যান্য পত্রিকা অবিক্রীত থাকলেও বাংলাদেশ প্রতিদিন কোনো দিন ফেরত আসে না।

 

সর্বশেষ খবর