শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভোটের হাওয়া সারাদেশে

দেশীয় শিল্পের বিকাশে সুবিধা দেবে বাম জোট

রুহুল আমিন রাসেল

ক্ষমতায় গিয়ে দেশীয় শিল্পখাতের বিকাশ ও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার জন্য যুগোপযোগী সুবিধা নিশ্চিত করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এবার নির্বাচনী ইশতেহারে এমন ঘোষণা দিয়ে ৮ দলীয় এই কমিউনিস্ট জোট বলছে— তরুণ প্রজম্মের বেকার সমস্যা সমাধান করা হবে। রাষ্ট্রীয় নীতি ঢেলে সাজানো হবে। ঘুষ-দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের অঙ্গীকারও আসছে বাম জোটের ইশতেহারে।

আগামী ৭ ডিসেম্বর দেশবাসীর কাছে সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার প্রকাশ করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এবার নির্বাচনে প্রায় দেড় শত আসনে প্রার্থী দিয়েছে বাম জোট। এই জোটের প্রধান শরিক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি ‘ভিশন মুক্তিযুদ্ধ-৭১’ স্লোগানে কাস্তে মার্কায় ভোট চেয়ে আজ বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে ইশতেহার ঘোষণা করবে। দলটির ইশতেহারে বৈষম্যহীন ইনসাফের সমাজ গড়া ও রুটি-রুজি এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারনামা থাকছে। ইশতেহার প্রসঙ্গে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়, দুর্নীতি ও দলীয়করণ বন্ধের ঘোষণা থাকবে বাম জোটের ইশতেহারে। এর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও জনদুর্ভোগ লাঘব এবং ধনী-গরিবের বৈষম্য নিরসন করার লক্ষ্যে বাম বিকল্প গড়ে তোলা হবে। আর সিপিবির ইশতেহারে থাকছে, অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, অব্যবস্থাপনা, নৈরাজ্য, ব্যাংক চুরি-লুটপাট বন্ধ ও অযাচিত ঋণ না দেওয়ার কথা। সব মানুষের নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধের কথাও বলবে সিপিবি। সূত্র জানায়, আগামী সংসদ নির্বাচনে সর্বগ্রাসী সংকট থেকে মুক্তির জন্য লুটপাটতন্ত্র-সাম্রাজ্যবাদ-আধিপত্যবাদ- সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নির্মূল ও বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ার সংগ্রামে বামপন্থি প্রার্থীদের ভোট প্রদানের আহ্বান জানিয়ে ইশতেহার প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

ওই ইশতেহারে কৃষি, কৃষক ও গ্রামীণ মজুর-শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাম জোট বলেছে— শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়ন, শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য বন্ধ, শিক্ষা খাতে জাতীয় আয়ের ৮ শতাংশ বরাদ্দ করা হবে। স্বাস্থ্যখাত ও চিকিৎসার মানোন্নয়ন, চিকিৎসা বাণিজ্য বন্ধ ও বাজেট বাড়ানো, ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি উদ্যোগে উন্নতমানের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা কাঠামো গড়ে তোলা হবে। যুবসমাজের তারুণ্য সম্পদকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানো, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধ-দুস্থ নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য রোধ ও তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। শহরের বস্তিবাসী, হকার ও নাগরিকদের জীবনমানের উন্নয়ন, প্রতিবন্ধীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি ও অধিকার রক্ষা করবে বাম জোট। আট দলীয় বামপন্থি জোট ক্ষমতায় গিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে সার্বজনীন করার ঘোষণা দিয়ে বলেছে— প্রকৃতি, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ু রক্ষা, পৃথিবীর উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করা হবে। জাতীয় স্বার্থরক্ষা ও বিকল্প জ্বালানি নীতির বাস্তবায়ন করা হবে। পানি উন্নয়ন ও বন্যা সমস্যার প্রতিকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করা হবে। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, যানজট রোধ, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত পরিবহন ব্যবস্থা দ্রুত বাড়ানো হবে।

সর্বশেষ খবর