শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি

নাটোরে সবজি আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে সবজি আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা

নাটোরে আসন্ন শীত মৌসুমে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে শীতের শুরুতেই বাজারে বিভিন্ন নতুন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দামও কম। এতে ক্রেতারাও খুশি। তবে দাম নিয়ে চাষিরা হতাশা প্রকাশ করেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলতি মৌসুমে  ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। অক্টোবর মাস থেকে সবজি চাষ শুরু হলেও অনেক চাষি আগাম সবজি চাষ করেছে। মার্চ মাস নাগাদ সবজি চাষের শেষ সময় নির্ধারিত হলেও নভেম্বর মাসেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ইতিমধ্যে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। গোল আলুসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি স্থানীয় বাজারে উঠতে শুরু করেছে। নাটোর শহরের বিভিন্ন সবজি আড়ত সূত্রে দেখা যায়, বাজারে শীতের সবজি উঠেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ধনেপাতা, লাউ, পেঁপে, মুলাসহ বেশ কিছু সবজির সরবরাহ বেড়েছে। বাজারে আসতে শুরু করেছে নতুন গোল লাল ও সাদা আলু। নতুন সবজির মধ্যে ফুলকপি প্রতি কেজি ২২ থেকে ২৫ টাকা, পাতাকপি প্রতি পিস ১১ থেকে ১৫ টাকা, বেগুন ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ১৬ থেকে ২২ টাকা, মুলা কেজি ১০ টাকা, শিম ২৩ থেকে ৪০ টাকা , টমেটো ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ধনেপাতা ৩২ থেকে ৩৫ টাকা, পালং শাক প্রতি কেজি ১৩ থেকে ১৬ টাকা, বরবটি ২২ থেকে ২৭ টাকা, পেঁপে ৮ থেকে ১২ টাকা কেজি, গাজর কেজি ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, করলা কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকা কেজি ৮০ টাকা এবং এক আঁটি (৮ থেকে ৯টি) নতুন পিয়াজ ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সদর উপজেলার হয়বতপুরের কৃষক সায়েদ উদ্দিন বলেন, তিনি অন্তত ২০ বিঘা জমিতে পাতাকপি চাষ করেছেন। বিঘায় খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভের আশা ছিল। কিন্তু সবজির সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম পড়ে গেছে। এতে লাভের পরিমাণ কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অপর এক কৃষক আফেল উদ্দিন জানান, তিনি পাতাকপি, গাজর, ফুলকপি, পালং ও লাল শাক চাষ করেছেন। দাম পাওয়ার আশা করছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, নাটোর হচ্ছে ধান উৎপাদনের দিক থেকে অগ্রগামী এলাকা।

 তেমনি সবজি চাষের উপযোগী এলাকা। জেলায় সবজি আবাদের সময় শুরু হয় অক্টোবর মাস থেকে। কিন্তু কৃষক আগে থেকেই শীতকালীন সবজি আবাদ শুরু করেছে। স্থানীয় বাজার ছাড়া ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে। এবার ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও তা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সবজি চাষে খরচ যেমন কম, তেমনি লাভও বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পোকা মাকড়ের আক্রমণও তেমন নেই। চাষিরা সহজেই ও আগাম নিরাপদ সবজি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর