শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কৃষি খাতে কিছু ভালো প্রণোদনা রয়েছে। এ ছাড়া কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না। এই বাজারজাতের ব্যবস্থা করার নিশ্চয়তা এবারের নির্বাচনে আসতে পারে। দেখা গেছে, বগুড়ায় কৃষক আলু বিক্রি করছে ১০ টাকায়, অথচ তা ঢাকায় আসতে আসতে ৩০ টাকা হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কৃষক ২০ টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যদি সরকার বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা রাখতে পারে তাহলে কৃষক ন্যায্যমূল্য পেয়ে যাবে। প্রয়োজনে প্রতিটি জেলায় বায়িং সেন্টার করা যেতে পারে। কৃষক তার কৃষিপণ্য সেখানে দিয়ে আসবে, আর সেখান থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে যাবে। তিনি বলেন, কৃষকের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ কোন সময়ে, কোন অবস্থায়, কোন ফসলের জন্য কী কী উপযোগী, তা সব কৃষক জানে না। কৃষি খাতের মধ্যে সারে সরকারের ভর্তুকি আছে। তেমনি বিদ্যুতে ভর্তুকি দেওয়া গেলে চালের দাম কম হতে পারত। অনেক কৃষিপণ্য আছে যেগুলো পচনশীল। এগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য কৃষককে স্টোরিং সুুবিধা দিতে হবে। কৃষিপণ্য প্রসেসিং এবং প্যাকেজিং সিস্টেমে উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এই সুযোগ সুবিধাগুলো না থাকা মানে কৃষিক্ষেত্রে মৌলিক সমস্যা থাকা। আমাদের কৃষিনির্ভরতা কমেনি, বরং ৪ গুণ বেড়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিকের চেয়ে কৃষিপণ্য পাটের ব্যবহার বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিটি গ্রামে একজন করে কৃষি বিশেষজ্ঞের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যেতে পারে। পার্বত্য অঞ্চলকে চা, মাল্টা, কমলা ও আনারসসহ বিভিন্ন ফল-ফলাদি চাষে কাজে লাগানো যেতে পারে।