মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভোটের হাওয়া

এককভাবে নির্বাচনে ইসলামী ফ্রন্ট, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মহাজোট

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

আগামী সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের (ইউএনএ) অন্যতম শরিক বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এককভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। জাপার সঙ্গে আসন বণ্টনে সুবিধা করতে না পারায় সম্মিলিত জোটের অন্যতম বৃহৎ দলটি জোট থেকে বের হয়ে এককভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই মধ্যে ২৭টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। আহলে সুন্নাতের মতাদর্শের দাবিদার দলটি এককভাবে নির্বাচন করলে চট্টগ্রামসহ দেশের কয়েকটি আসনে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। যা জয়-পরাজয়ের নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে। যাতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও জাপা নিয়ে গঠিত মহাজোট। এমন মতামত সংশ্লিষ্টদের। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন বলেন, ‘সম্মিলিত জোটের নেতৃত্বদানকারী জাপার কাছে আমরা ১১টি আসন চেয়েছি। কিন্তু তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সাড়া পাচ্ছি না। তাই জোট থেকে বের হয়ে এককভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ২৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছি। ওই আসনগুলোতে আমরা এককভাবে নির্বাচন করব।’  তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হয়ে কাজ করেছি। কিন্তু মহাজোট আমাদের সেভাবে মূল্যায়ন করেনি। তাই আমরা জোট থেকে বের হতে বাধ্য হচ্ছি।’ জানা যায়, সুফিবাদী আহলে সুন্নাত মতাদর্শী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চলে। চট্টগ্রামের পটিয়া, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী এবং রাঙ্গুনিয়ায় বিগত উপজেলা নির্বাচনে ইসলামী ফ্রন্টের ব্যানারে ৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া দলীয় ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। এ ছাড়াও চট্টগ্রামসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় দলটির শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। যেসব উপজেলায় তাদের অবস্থান রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, আনোয়ারা, কক্সবাজারের মহেশখালী, বাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ। এ ছাড়া মৌলভীবাজার, নীলফামারী, কিশোরগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় ভালো অবস্থান রয়েছে দলটির। এরই মধ্যে ২৭টি আসনে দেওয়া হয়েছে দলীয় প্রার্থী। এসব আসনের মধ্যে রয়েছে— চট্টগ্রাম-২ শাহ সুফি সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ আল হাসানি, চট্টগ্রাম-৪ মাও. মুহাম্মদ আশরাফ হোসাইন, চট্টগ্রাম-৫ নাঈমুল ইসলাম পুতুল, চট্টগ্রাম-৭ মাওলানা সৈয়দ আবু নওশাদ নঈমী, চট্টগ্রাম-৮ ও ১৪ স. উ. ম. আবদুস সামাদ, চট্টগ্রাম-৯ ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আবু আযম, চট্টগ্রাম-১১, ১২ ও ১৩ মাওলানা এম এ মতিন, চট্টগ্রাম-১৬ সৈয়দ মুনিরুল ইসলাম আশরাফী, ঢাকা-৮ অধ্যক্ষ ডা. এস এম সরওয়ার, ঢাকা-১৩ মুহাম্মদ আবদুল হাকিম, ঢাকা-১৪ শাহ সুফি সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমাদ আল হাসানি, ঢাকা-১৮ অধ্যাপক এম এ মোমেন, চাঁদপুর-১ অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল আলম মজুমদার, চাঁদপুর-৩ অধ্যক্ষ আবু জাফর মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন, চাঁদপুর-৪ গোলাম মাহমুদ ভূঁইয়া মানিক,  চাঁদপুর-৫ মাওলানা আবু সুফিয়ান খান আবেদী, ফেনী-১ অধ্যাপক নুরুল আলম, কক্সবাজার-২ মাওলানা মঞ্জুর আহমাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ অ্যাডভোকেট ইসলাম উদ্দিন দুলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ অধ্যক্ষ কাজী মহিউদ্দিন মোল্লা, হবিগঞ্জ-১ হাফিজ মাওলানা যুবায়ের আহমাদ, হবিগঞ্জ-৪ সোলাইমান খান রাব্বানী, কিশোরগঞ্জ- ৬ হাজী মোহাম্মদ রুবেল ও মৌলভীবাজার-১ আসনে আহমেদ রিয়াজ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর