বুধবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় জ্যাজের আসর

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় জ্যাজের আসর

জার্মানির সংগীতের জনপ্রিয় ধারা জ্যাজ মিউজিক। বাংলাদেশেও জনপ্রিয়তার কাতারে উন্নীত হয়েছে জার্মান সংগীতের এই ধারাটি। আর শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশের সংগীতানুরাগীরাও বিমোহিত হলো জার্মানির এই সংগীতে।

গতকাল সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হয় ‘টিউবস অ্যান্ড ওয়্যারস’ শিরোনামের এই সংগীতাসর। ঢাকাস্থ গ্যেটে ইনস্টিটিউট আয়োজিত এই সংগীতাসরের সহযোগিতায় ছিল শিল্পকলা একাডেমি। ‘ল্যাঞ্চ প্যাড ডিসকো’ গানটি দিয়ে নিজেদের পরিবেশনা শুরু করে একে একে তারা পরিবেশন করে ‘ওর্ন আউট লাভসং মেশিন’, ‘ব্যাকওয়ার্ড হ্যাপিনেস’, ‘গ্রিড’, ‘পারপচুয়াল ওয়েভস’, ‘লাইফ ইন টাইমস অব দ্য বিগ ক্রান্স’, ‘লেয়ার’, ‘কামারুডু’, ‘গ্লেম ও ‘ইরেজ’সহ বেশ কয়েকটি গান। জ্যাজের সঙ্গে ডিসকো সংগীতের মিশ্রণটি ছিল বেশ উপভোগ্য। অনুষ্ঠানটি উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছেন শুধু আমন্ত্রিত দর্শকরা। এর আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় স্বাগত বক্তৃতা করেন গ্যেটে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডক্টর কিরস্টেন হাঁকেনব্রোক ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি।

বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসু স্মরণে জাদুঘরে সেমিনার : বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসু স্মরণে সেমিনারের আয়োজন করেছে জাতীয় জাদুঘর। গতকাল বিকালে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘উদ্ভাবন বা আবিষ্কার জনগণের সম্পত্তি’ শীর্ষক এই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইব্রাহীম। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজ্ঞান বক্তা আসিফুজ্জামান। আলোচক ছিলেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক স্বপন কুমার রায় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকার। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর কাজ মূলত রেডিও মাইক্রোওয়েভ অপটিক্সের তাত্ত্বিক দিক নিয়ে। অর্থাৎ তিনি তার গবেষণায় এই তরঙ্গের প্রকৃতি ও প্রণালি ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। রেডিও গবেষণায় তার উল্লেখযোগ্য অবদান হচ্ছে তিনিই সর্বপ্রথম রেডিও তরঙ্গ শনাক্ত করতে সেমিকন্ডাক্টর জাংশন ব্যবহার করেন। এখনকার সময়ে ব্যবহৃত অনেক মাইক্রোওয়েভ যন্ত্রাংশের আবিষ্কারকও তিনি। অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকার বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশে বিভিন্ন আশ্চর্যজনক যন্ত্র আবিষ্কার করে বিশ্বে হৈচৈ ফেলে দেন স্যার জগদীশচন্দ্র বসু। এই বিজ্ঞানী তার কাজের জন্য নিজের লাভের কথা চিন্তা না করে জনকল্যাণের নিমিত্ত নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখেন। স্বপন কুমার রায় বলেন, জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী এই বাঙালি বিজ্ঞানী রেডিও সিগনাল শনাক্তকরণে সেমিকন্ডাক্টরের ব্যবহার বিষয়ে তার করা গবেষণাপত্র পর্যন্ত উন্মুক্ত করে দেন যেন অন্য বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে গবেষণা করতে পারেন। তা না হলে আজ তিনি গোটাকয়েক প্যাটেন্টের অধিকারী হতে পারতেন। জগদীশচন্দ্র বসুই প্রথম প্রমাণ করেন যে, প্রাণী ও উদ্ভিদের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। জাদুঘরের মহাপরিচালক বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ১৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্ম-মৃত্যু বার্ষিকী পালনে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এই ১৪টি সেমিনারের মধ্যে স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর স্মরণ অনুষ্ঠান অন্যতম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর