শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে সমরেশ মজুমদার, আড্ডায় শত শত তরুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সমরেশ মজুমদার, আড্ডায় শত শত তরুণ

চট্টগ্রামে শত শত তরুণ-তরুণীর সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠলেন বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। আড্ডাকালে তিনি বাংলাদেশের জাগরণ নিয়ে লেখার ইচ্ছা পোষণ করেন। শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত আড্ডায় নিজের এই ইচ্ছার কথা জানান এ লেখক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও সংগ্রাম নিয়ে অনেকেই লিখেছেন। কিন্তু এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন শুরু হয়েছে ১৯৪৭ সালের আগস্ট থেকে। ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আন্দোলন মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে। এর বাইরে আরেকটা জাগরণ আমি দেখতে পাই। ওই জাগরণ নিয়ে লেখার ইচ্ছা রয়েছে। এ ছাড়া একাত্তর থেকে বাংলাদেশের যে পরিবর্তন শুরু হলো তা নিয়ে একটি উপন্যাসও লেখার ইচ্ছা রয়েছে।’ কবিতা মেয়েরা খুব পছন্দ করে উল্লেখ করে সমরেশ বলেন, কবিতা লেখার ক্ষমতা অর্জন করতে হয়। তাই জীবনানন্দ বলেছিলেন, ‘সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।’ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কবিতা লিখতে পারিনি। তাই গদ্য লিখেছি।

জনপ্রিয় এ লেখককে বিরামহীন লেখার রসদ জোগান রবীন্দ্রনাথ— এ কথা জানিয়ে বলেন, রবীন্দ্রনাথের কবিতা, গানগুলো আমার কাছে মন্ত্রের মতো। ঈশ্বরের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। কিন্তু আমার মন দুঃখ পেলেই আমি রবীন্দ্রনাথের গান শুনি। আমার মন ভালো থাকলেও রবীন্দ্রনাথের গান শুনি, মন আরও ভালো হয়ে যায়। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের বিষয়ে সমরেশ মজুমদার বলেন, ঢাকায় এলে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কথা হতো। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত আড্ডা চলত। তার বাসায়, নুহাশ পল্লীতে, আমেরিকার বিভিন্ন শহরে আমরা কথার পর কথাই বলে গেছি। সে প্রায়ই বলত, সমরেশ দা—যে মানুষ ১৫ থেকে ১৬ তে পা দিয়ে হুমায়ূন আহমেদ পড়েনি সে পাঠক না। আর যে ২৫ এ পড়ার পর হুমায়ূন আহমেদ পড়ে, সেও পাঠক না। এটা বলার ক্ষমতা সব লেখকের হয় না। আলাপচারিতায় সঞ্চালক ছিলেন কবি বিশ্বজিৎ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বাতিঘরের স্বত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশ।

সর্বশেষ খবর