একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত ছয় আসনের ভোট কেন্দ্রগুলোয় ৪৫০ জনের বেশি ভোটার না রাখার চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য ইভিএম ব্যবহারে নির্ধারিত ছয় আসনের প্রতি ভোটকক্ষে ভোটারের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৪৫০ জনের মধ্যে রাখার সুপারিশ করেছে ইসি। প্রয়োজনে ভোট কেন্দ্রের গেজেট সংশোধনের জন্যও বলেছে তারা। জানা গেছে, ছয় আসনে ৮৪৫টি ভোট কেন্দ্র ও ৫ হাজার ৫১টি ভোটকক্ষ থাকবে।
গত বৃহস্পতিবার ইসির সহকারী সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-১) রৌশন আরা বেগম স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনা জারি হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, একাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩, খুলনা-২, সাতক্ষীরা-২, ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩ ও চট্টগ্রাম-৯ এ ছয় আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে নির্ধারিত ছয় আসনের জন্য কক্ষপ্রতি ভোটারবিন্যাস ৪০০ থেকে ৪৫০-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে ভোট কেন্দ্রের গেজেটে ভোটকক্ষের সংখ্যায় ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অস্থায়ী কক্ষের সংখ্যায় সংশোধনের প্রস্তাব পাঠানো প্রয়োজন। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত আরেকটি চিঠিতে বলা হয়, ছয় আসনে ৮৪৫টি ভোট কেন্দ্র ও ৫ হাজার ৫১টি ভোটকক্ষ থাকবে। ৫ শতাংশ হারে অতিরিক্তসহ মোট প্রিসাইডিং অফিসার ৮৮৭, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৫ হাজার ৩০৪ ও পোলিং অফিসার ১০ হাজার ৬০৮ জন থাকবেন। এ লক্ষ্যে ছয়টি আসনের ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা প্রয়োজন। এই ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক প্রশিক্ষক তৈরি করতে আসনভিত্তিক ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি প্যানেল প্রস্তুত করতে জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগসংক্রান্ত কমিটির সভায় নির্দেশনা দেওয়া হয় দ্বিতীয় চিঠিতে।
