শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

টার্কি মুরগি পালনে ঝুঁকছেন নারীরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

টার্কি মুরগি পালনে ঝুঁকছেন নারীরা

টার্কি মুরগি পালনে ব্যাপক লাভবান হওয়ায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় এর প্রসার বেড়েই চলেছে। প্যাকেজ সিস্টেমে টার্কি মুরগি বিক্রি করে আবার কিনে নেওয়ায় বাড়ির বেকার নারীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন খামারি নীল রতন সাহা নিপু। আর খামারে লাভবান হওয়ায় এখন নিজেই ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন প্রক্রিয়ার জন্য হ্যাচারি গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করছেন। বীরগঞ্জ শহরের সাহেবপাড়ার জয়নন্দ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক নীল রতন সাহা নিপু গড়ে তুলেছেন এ খামার। এখন তার খামারে ৪০০ বিভিন্ন বয়সের টার্কি রয়েছে এবং অন্যত্র এক হ্যাচারিতে ৪০০ ডিম ফুটাতে দিয়েছেন। টার্কি বিক্রি শুরু করেছেন। গত এক মাসে ৪০ হাজার টাকার টার্কি বিক্রি করেছেন। কম খরচে দ্রুত বর্ধনশীল এই টার্কি মুরগি পালন করে নীল রতন অধিক লাভবান। শান্ত স্বভাবের টার্কির মাংস খুব পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। তিনিও চান বেকার যুবক-যুবতীরা এ মুরগি চাষ করে স্বাবলম্বী হোক। টার্কির বাচ্চা ১-৭ দিন বয়সের ৩৫০ টাকা এবং ১৫ দিন বয়সের বাচ্চা ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। খামারি নীল রতন জানান, ইন্টারনেটে টার্কি মুরগি পালন দেখে উৎসাহিত হই। পরে বিভিন্ন খামারে এ মুরগি দেখতে যাই। গত ফেব্রুয়ারি মাসে জয়পুরহাট থেকে এক দিনের ১০০ টার্কি মুরগির বাচ্চা ৩২ হাজার টাকায় কিনে পালন শুরু করি। ছয় মাস বয়সে ডিম পাড়া শুরু করে। এখন আমার খামারে ৪০০ টার্কি রয়েছে। এরই মধ্যে ৪০০ ডিম দেবীপুর হ্যাচারিতে বাচ্চা ফোটানোর জন্য দিয়েছি। খামারে প্রতিদিন ৩৫-৪০টি ডিম পাওয়া যায়। দিন দিন ডিমের পরিমাণও বাড়ছে। যারা পালন করতে কিনে নেন তাদের বলেছি, বাচ্চা বড় করে বিক্রি করলে আমিই কিনে নেব। বড় টার্কি মাংসের জন্য বিক্রি করব। গত মাস থেকে প্যাকেজ সিস্টেমে টার্কি বিক্রি শুরু করেছি। প্যাকেজটি হলো— দুই মাস বয়সের ২০টি টার্কি ১৪ হাজার টাকা। তিন মাস পর আমিই তার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা লাভ দিয়ে কিনে নেব। এতে ওই ব্যক্তি লাভবান হবেন। এতে বাড়িতে বসেই অনেক মহিলা লাভবান হচ্ছেন। খামারে আমি টার্কি মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর হ্যাচারি করার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, একটি টার্কি মুরগির ওজন ৪ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রতিটি টার্কি মোরগ ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। টার্কি মুরগি যে কেউ বাসাবাড়িতে পালন করতে পারেন। কারণ এটা লাভজনক। ছয় মাস বয়স থেকে টার্কি মুরগি ডিম পাড়া শুরু করে। এ মুরগির রোগ কম হয় এবং খাবারও কম খায়। অন্য মুরগির মতোই পোলট্রি ফিডও খায়। তবে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া শাক-সবজি, ফল, লেবু খাওয়াই আমি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর