শিরোনাম
রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

স্বতন্ত্রভাবে জলবায়ু মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে

—আতিক রহমান

জিন্নাতুন নূর

স্বতন্ত্রভাবে জলবায়ু মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে

সরকারি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি এবং এনজিও কর্মকর্তাদের একসঙ্গে নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে কাজ করতে হবে। যদিও পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় করা হয়েছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে অনেকেই মনে করছেন, জলবায়ুবিষয়ক স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় তৈরি করতে হবে। এ জন্য দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আতিক রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন।

ড. আতিক বলেন, বাংলাদেশ এখন এসডিজির সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সম্পৃক্ত। এসডিজির ১৭টি লক্ষ্য আছে। আর এর প্রায় সবগুলোর সঙ্গেই পরিবেশ ও জলবায়ুর সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশ বেশ কিছু বিষয়ে উন্নয়ন করেছে। কিন্তু তারপরও পরিবেশ, জীবন, স্বাস্থ্য ও প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে এগুলোর ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, পরিবেশে বায়ুদূষণ শহরকেন্দ্রিক। যা আমাদের জন্য বিশেষ হুমকিস্বরুপ। দুর্ভাগ্যবশত উন্নয়নের বেশ কয়েকটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও শহরকেন্দ্রিক চার কোটি মানুষ বায়ু দূষণে ভুগছে। বায়ু দূষণের জন্য ঢাকা পৃথিবীর নিকৃষ্টতম স্থান। দুঃখজনক যে, নতুন বিজ্ঞান বলছে বায়ু দূষণ আরও প্রকট হলে শিশু ও মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর বুদ্ধিমত্তা ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। যা ভবিষ্যতের জন্য বিশেষ চ্যালেঞ্জ। আর শহরকে বায়ুদূষণমুক্ত করা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য হতে পারে বড় ইস্যু। এরই মধ্যে বায়ু দূষণ রোধে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তবে এর কার্যত কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এই পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অন্যতম কঠিনতম অবস্থায় আছে দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও উপকূলীয় অঞ্চল। এর ফলে এসব এলাকায় সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া লবণাক্ততা, সাইক্লোন ও বন্যার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যম অঞ্চলের প্লাবন ভূমিতে বন্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব এলাকায় বন্যার ঘনত্ব ও তীব্রতা দুটোই বাড়ছে। দেশের বরেন্দ্র এলাকা ও রাজশাহীতে শুষ্কতা দেখা দিয়েছে। হাওর ও পাবর্ত্য এলাকা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর এজন্য আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি প্রয়োজন। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। বাজেট ও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। 

সর্বশেষ খবর