সোমবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভোটের হাওয়া

নির্বাচনী ব্যয়ের কারণে পিছিয়ে পড়ছেন যোগ্য প্রার্থীরা : সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনী ব্যয় অনেক সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বাধ্য করছে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ অভিমত দেন সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়। দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, নির্বাচনটা অনেক ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিনিয়োগে পরিণত হয়েছে। এখানে যতখানি না মানুষের ভোটাধিকার, তার থেকে বেশি ওইখানে (বিনিয়োগ) গেছে। নির্বাচনী ব্যয় এখন অনেক সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বাধ্য করছে। এ ব্যয় নিয়ে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সামর্থ্য নেই। নির্বাচনী ব্যয় গণতন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা হয়ে উঠছে কি না তা এখন বড় বিষয়—এমন মন্তব্য করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যয়কে আগামীতে রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য করা যায় কি না খতিয়ে দেখতে হবে। নির্বাচনী ব্যয়ে স্বচ্ছতা আনতে হবে। নির্বাচনী ব্যয়ের যে ঘোষণা দেওয়া হয় তা পরবর্তী সময়ে পরিবীক্ষণ করার আগ্রহ বা সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে বলে অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের কাছে মনে হয়নি।’

তিনি বলেন, প্রার্থীদের হলফনামায় সম্পদের যে বিবরণ দেওয়া হয় তা আনুষ্ঠানিকতা হিসেবেই থেকে যায়। এটাকে দলিল হিসেবে তার সত্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগ কেউ নেয় না। নির্বাচন কমিশনের সেই সক্ষমতা না থাকলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেই সক্ষমতা রয়েছে। সুতরাং এটা তাদের আগ্রহের বিষয় হওয়া উচিত। ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে এই সময়কালে (২০০৮-১৮) বাংলাদেশের বড় ধরনের উন্নয়ন আমরা লক্ষ্য করেছি। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর