বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় ‘কথা ৭১’

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় ‘কথা ৭১’

নাটকের দল ঢাকা পদাতিক মঞ্চায়ন করেছে তাদের নিয়মিত প্রযোজনার নাটক ‘কথা ৭১’। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটির মঞ্চায়ন হয়।

গোলাম মোস্তফার ভাবনা অবলম্বনে কুমার প্রীতীশ বল রচিত এই নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন দেবাশীষ ঘোষ। নাটকের বক্তব্য উঠে এসেছে, দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং তাদের মর্মান্তিক ধর্মান্তরের কথা। স্বাধীনতাবিরোধীদের শান্তি কমিটি, রাজাকার-আলবদর বাহিনী গঠন, তাদের এবং পাকিস্তানি হানাদারদের পৈশাচিক নির্যাতন, ধর্ষণ, গণহত্যার কথা। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন ফিরোজ হোসাইন, কাজী চপল, সিফাত বিন আজিজ, শেখশান-এ-মাওলা, এইচ এম মোতালেব, শ্যামল হাসান, মিল্টন আহমেদ, তারেক আলী মিলন, বর্ণালী আক্তার সেতু, সিরাজুম মুনিরা ইকরা, মারজিয়া জাবীন তন্বী, মীর ফারজানা আক্তার নীপা, মাহফুজা আক্তার মিরা প্রমুখ। বিজয় ফুল প্রতিযোগিতা : নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণ ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানোর লক্ষ্যে আজ জাতীয় পর্যায়ে শুরু হচ্ছে ‘বিজয় ফুল উৎসব’ এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে সকাল সাড়ে ৯টায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হবে এ উৎসব। বিজয় ফুল (শাপলা) তৈরি, মুক্তিযুদ্ধের গল্প রচনা, কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, একক অভিনয় ও চলচ্চিত্র নির্মাণ এই সাতটি বিষয়ের ওপর অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ কাপড়, প্লাস্টিক শিট ও অন্যান্য উপকরণ দেওয়া হবে। এরপর বিকাল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে থাকছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আহমেদ। গতকাল শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এই আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। জাদুঘরে আলোচনা সভা : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিন ১৪ ডিসেম্বর।

 ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় যখন নিশ্চিত, ঠিক তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের রাতের আঁধারে চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

গতকাল বিকালে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক রশীদ হায়দার। জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি শিল্পী হাশেম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পিতাদের নিয়ে আলোচনা করেন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তান আসিফ মুনীর, অধ্যাপিকা ফাহমিদা খানম এবং ডা. নুজহাত চৌধুরী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর