শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভোটের হাওয়া সারাদেশে

ইশতেহারে ১৩ লক্ষ্য ওয়ার্কার্স পার্টির

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। ইশতেহারে রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সর্বস্তরে দুর্নীতি রোধ, ব্যাংক জালিয়াতি ও অর্থ পাচার বন্ধসহ ১৩ দফা লক্ষ তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে ২১ দফা কর্মসূচিও ঘোষণা করে রাজনৈতিক দলটি।

রাজধানীর তোপখানায় পার্টি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। এ সময় পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, নুরুল হাসান, মাহমুদুল হাসান মানিক, ড. সুশান্ত দাস, হাজেরা সুলতানা, কামরুল আহসান, মুস্তফা লুত্ফুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। ইশতেহারে রাজনীতিকে দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়নের হাত থেকে রক্ষা করতে রাজনীতি ও নির্বাচন ব্যবস্থার পরিপূর্ণ সংস্কার, উন্নয়নের পাশাপাশি ধনী-দরিদ্রের ও গ্রাম-শহরের বৈষম্য যৌক্তিকহারে কমিয়ে আনা, ব্যাংক ব্যবস্থাকে পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়। বেকার যুবকদের ভাতা প্রদান, চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করা, কর্মজীবী নারীদের কর্মসংস্থান, মজুরি বৈষম্য দূর করার আশ্বাস দেয় ওয়ার্কার্স পার্টি। আরও বলা হয়— পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া চালু, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফি কমানো, নন-এমপিও শিক্ষক এমপিওভুক্তি, নিয়োগসহ শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধ, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকল রোধের ব্যবস্থাসহ শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন করা হবে। ধর্মীয় ও জাতিগত সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায়সঙ্গত মূল্য নিশ্চিত করা, কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা, ডিজিটাল ব্যবস্থা সর্বগ্রাহী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ইশতেহারে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনাহীনতা ও ব্যক্তি স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষার বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে জলবায়ু মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টির ইশতেহারে।

 ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও পার্টির নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেনন সংবাদ সম্মেলনে জানান, মোট আটটি আসনে পার্টির নেতারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে জোটবদ্ধভাবে নৌকা প্রতীকে পাঁচ আসনে এবং হাতুড়ি প্রতীকে তিন আসনে অংশ নেবেন তারা।

রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশ উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। দেশবাসীর জন্য এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষা হবে, না কি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের সেই হত্যা, ধর্ষণ, খুন, হাওয়া ভবনের লুটপাটে ফিরে আসবে তা এই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। এই নির্বাচন নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ হবে বলেও মত দেন রাশেদ খান মেনন।

সর্বশেষ খবর