এবার দেশেই বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী নীল গাইয়ের প্রজনন ঘটানোর আশা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে কর্মপরিকল্পনা। আর এর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে দিনাজপুরের রামসাগর দীঘি জাতীয় উদ্যানকে। সংশ্লিষ্টরা জানান, উদ্যানটি বাংলাদেশ বন বিভাগের অধীন। সাড়ে তিন মাস আগে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলা থেকে উদ্ধার হওয়া দেশের একমাত্র নীল গাইটি রয়েছে এই উদ্যানে। বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণীটির গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হলেও নতুন করে এর বংশবিস্তারে আশাবাদী বন বিভাগের বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে রামসাগর দীঘির তত্ত্বাবধায়ক এ কে এম আবদুস সালাম তুহিন প্রধান বন সংরক্ষককে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, গত তিন মাসের সেবায় নীল গাইটি এখন প্রায় সুস্থ-সবল। এটি ফের শাবক জন্মদানে সক্ষম। এজন্য ভারত থেকে একটি নীল গাই (ষাঁড়) এনে এর বংশবিস্তারের উদ্যোগ নিয়েছে দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগ। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় উদ্যানটিতে বন্যপ্রাণীর বংশবিস্তারে অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। চারটি চিত্রা হরিণ এনে এখানে আড়াই শতাধিক চিত্রা হরিণের জন্মদান করানো সম্ভব হয়েছে। জানা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর বিকালে রানীশংকৈল সীমান্তের কুলিক নদীর কাছে থেকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে দুর্লভ নীল গাইটি। তারা জবাই করে এর মাংস খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন নীল গাইটিকে উদ্ধারের পর দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। রামসাগরে আনার পর থেকেই প্রাণীটিকে দেখতে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ভিড় করছেন।
রামসাগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাণীটির গর্ভে ওই সময় বাচ্চা ছিল। কিন্তু মানুষের ধাওয়ায় এটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এতে নীল গাইটির মুখ ও শরীরের বেশকিছু স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এতে গর্ভের বাচ্চাটি জীবিত প্রসব হলেও কিছুক্ষণ পর মারা যায়।
