শুক্রবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

খাদ্য চাহিদা পূরণ করবে ‘সি-উইড’

রপ্তানি করে আয় হবে হাজার কোটি টাকা

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

খাদ্য চাহিদা পূরণ করবে ‘সি-উইড’

বাংলাদেশের বিকল্প খাদ্য হতে পারে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন প্রজাতির ‘সি-উইড’। সামুদ্রিক এ খাদ্য পুষ্টির চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ, প্রসাধনসামগ্রীসহ নানা শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে কাজে লাগবে। এতে করে এসব খাতের কাঁচামালের আমদানি খরচ সাশ্রয় হওয়ার পাশাপশি ‘সি-উইড’ বিদেশে রপ্তানি করে আয় হবে হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। এতে করে সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি। বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বিজ্ঞানী আবু সায়েদ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘সি-উইড বিকল্প খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি ওষুধ ও প্রসাধনশিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ এসব কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করে। যদি আমরা বঙ্গোপসাগরে থাকা সি-উইডগুলো যথাযথ ব্যবহার করতে পারি, তাহলে আমাদের আর বিদেশমুখী হতে হবে না।’ তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান শুধু সি-উইড রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্র এলাকা কাজে লাগিয়ে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি। বিকল্প খাদ্য হিসেবেও সি-উইড কাজে লাগানো যেতে পারে, যা পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সি-উইড প্রজাতি ও রকম চিহ্নিত করতে ১৯৭৬ সালে অধ্যাপক নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল গবেষক সাগরে অনুসন্ধান শুরু করেন। প্রায় দুই বছর অনুসন্ধান চালিয়ে তারা ১৮১টি প্রজাতির সি-উইড চিহ্নিত করেন। এরপর থমকে যায় বাংলাদেশের সি-উইড অধ্যায়যাত্রা। তখনকার সময়ে চিহ্নিত হওয়া সি-উইড প্রজাতিগুলো এখনো রয়েছে কি না তাও নিশ্চিত নয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর নতুন করে শুরু হয় বাংলাদেশের সি-উইড অনুসন্ধান। বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক মোহাম্মদ শিমুল ভূঁইয়া বলেন, ‘সাগরে সব জায়গায় সব সি-উইড পাওয়া যায় না। নির্দিষ্ট কিছু পরিবেশে, নির্দিষ্ট জায়গায় সি-উইড পাওয়া যায়। আমাদের সৌভাগ্য হচ্ছে বাংলাদেশের জলসীমানায় ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির প্রচুর পরিমাণ সি-উইড রয়েছে।

সর্বশেষ খবর