শিরোনাম
শুক্রবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফেনীতে চার তরুণী ধর্ষণে গ্রেফতার ২

সুবর্ণচর গণধর্ষণে আরও দুজনের স্বীকারোক্তি

ফেনী ও নোয়াখালী প্রতিনিধি

ফেনী শহরের রামপুরের একটি বাসায় চার তরুণীকে আটকে রেখে ছয় মাস ধরে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত সোমবার এক তরুণী বাদী হয়ে কাওসার বিন কাসেমসহ (৩৩) অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেছেন। এদিকে মামলা দায়েরের পর পুলিশ রামপুর থেকে আরিফুল ইসলাম প্রকাশ আরমান (৩৩) ও ওমায়েরকে (১৯) গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, রামপুরের এ বাসায় চার তরুণীকে নিয়ে এসে দীর্ঘ ছয় মাস যাবৎ বখাটেরা যৌনকর্ম করতে বাধ্য করেছে। যৌনকর্ম না করলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, রামপুরের ওই বাসা থেকে ৫৩ পিস ইয়াবা, মাদক সেবনের সরঞ্জাম ও নির্যাতনের বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে। ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম জানান, প্রধান আসামি কাওসার বিন কাসেমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। স্বীকারোক্তি দুই আসামির, রিমান্ডে আরেকজন : নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় রিমান্ডে থাকা এজাহারের ৩নং আসামি মো. স্বপন ও ৫নং আসামি ইব্রাহিম খলিল বেচু ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর দিকে মুরাদ নামে অপর এক আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে একই আদালত।  গতকাল বিকালে নোয়াখালীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনীতা গুহ আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং অপর এক আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জাকির হোসেন দুই আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জবাবন্দিতে তারা ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া তদন্তে প্রাপ্ত অপর এক আসামি মুরাদের সাত দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

উল্লেখ্য, ধর্ষণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয় আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে যারা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তারা হলেন মুরাদ, আবুল, মো. সোহেল ও জসিম উদ্দিন।

সর্বশেষ খবর