শনিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নিতে হবে

--------- ড. আজিজুর রহমান

তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নিতে হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান বলেছেন, সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের এখানে অন্যায়, অবিচার, হত্যা, খুন ও ধর্ষণের ঘটনা অহরহ ঘটে কিন্তু বিচার হয় না। এই বিচারহীনতার কারণে এক ধরনের অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করে। এ থেকে অপরাধীরা অপরাধ করতে উদ্বুদ্ধ হয়। আরেকটি বিষয় হলো- নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রতিহিংসা পরায়ণতা এবং নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য কেউ কেউ এমনটি করে থাকে। এসব মোকাবিলার জন্য পাড়া-মহল্লায় আইনের শাসন, মানবিক শাসনের প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন আছে। তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পাড়া-মহল্লায় সাধারণ মানুষকে সংঘবদ্ধ করা এবং সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করতে হবে। দেখা যায়- যারা অপরাধ করে তারা কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক কিংবা নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় থাকে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা যায় না। এ কারণে বরাবরই অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। যদি কয়েকদিনে দু-একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা যেত তাহলে অপরাধ কার্যক্রম অনেকাংশেই কমে যেত। তবে নারী ও শিশু নির্যাতনের ক্ষেত্রে মাদকাসক্ত একটা বড় সমস্যা। মাদকাসক্ত নির্মূলে সেভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। মাদকবিরোধী অভিযানে রাস্তা থেকে দু-একজনকে ধরা হয়, কিন্তু এদের পেছনের লোকদের আড়ালেই রাখা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সামাজিক অপরাধ মোকাবিলার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে। তাদের সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তারাই পাড়া-মহল্লার বাসিন্দাদের একত্রিত করে সচেতনতামূলক কাজ করতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর