শনিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

জুয়েলারি ব্যবসার আড়ালে ডাকাতি গ্রেফতার ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুয়েলারি ব্যবসার আড়ালে ডাকাতি করত সংঘবদ্ধ একটি চক্র। এই ডাকাত দলের নেতৃত্বে ছিলেন গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার একটি জুয়েলারি দোকানের কর্ণধার প্রদীপ পোদ্দার। তিনি ডাকাতি করে নিয়ে আসা স্বর্ণালঙ্কার কম মূল্যে চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে কিনে রাখতেন। চক্রের সদস্যরা কখনো গ্রেফতার হলে তাদের আইনি সহায়তার জন্য উকিলও ঠিক করে দিতেন প্রদীপ।

সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরা ও গাজীপুর এলাকার বিভিন্ন বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে এই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারোয়ার-বিন-কাশেম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তারা হলো- ডাকাত চক্রের মূল হোতা প্রদীপ পোদ্দার, দুলাল হোসেন, রাসেল, জাকির হোসেন, কোকিলা বেগম ওরফে প্রেরণা ও হাজেরা বেগম। তাদের কাছ থেকে ডাকাতিকৃত বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব কর্মকর্তা সারোয়ার বলেন, চক্রের মূল হোতা প্রদীপের টঙ্গীর আফতাব প্লাজায় একটি জুয়েলারির দোকান আছে। জুয়েলারি ব্যবসার আড়ালে তিনি একটি ডাকাত চক্র গড়ে তোলেন। প্রায় সময় এই চক্রের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দিতেন প্রদীপ। ডাকাতির ঘটনায় চক্রের কোনো সদস্য সমস্যায় পড়লে তিনি সহযোগিতা করতেন। গত ১০ বছর ধরে প্রদীপ ইয়াবা সেবন ও ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। ডাকাত চক্রের সদস্য গ্রেফতার দুলাল পেশায় একজন কাপড় ব্যবসায়ী। সে উত্তর বাড্ডা থেকে গার্মেন্টসপণ্য কিনে গাজীপুর ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় ফেরি করে বিক্রি করত। এই সুযোগে বিভিন্ন বাসায় ঢুকে বাসার সদস্যদের গতিবিধি লক্ষ্য করত। বাসার দরজা ভেঙে চক্রের অন্য সদস্যদের সহায়তায় ডাকাতি করত এবং মালামাল লুট করে নিত। কিছুদিন আগে টঙ্গীর একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দুলালকে দেখা গেছে। তিনি ইতিপূর্বে একাধিকবার গ্রেফতার হন এবং প্রায় আড়াই বছর কারাভোগ করেছিলেন। এরপর জামিনে বের হয়ে আবার একই কাজ শুরু করেন। চক্রের অপর সদস্য রাসেল ও জাকির তার সঙ্গে অসংখ্যবার চুরি-ডাকাতির কাজে অংশ নেন। এদিকে দুলালের স্ত্রী কোকিলা এবং দুলালের মা হাজেরা ডাকাতিকৃত মালামাল নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করে রাখত। এই চক্রের আরও সদস্য রয়েছে, তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর