রবিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইমেইলে নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে সরকার দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন জয়

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

সরকারি কার্যক্রমে ইমেইল ব্যবহারে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি মোকাবিলায় নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে একটি প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়েছে। আর এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

ইন্টারনেট-সেবা যত বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঝুঁকি। সম্প্রতি ইয়াহু ও জিমেইলের নিরাপত্তা-দেয়াল ভেদ করে লাখ লাখ ইমেইল ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। এমনকি নিরাপত্তা টুল ‘টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন’কে অতিক্রম করে নিরাপদ অ্যাকাউন্টগুলোও হ্যাক করে নিত্যনতুন ঝুঁকি তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট গবেষকরা ব্যবহারকারীদের সতর্ক করতে শুরু করেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ইমেইল হ্যাক হচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে তেমনি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় তথ্য হ্যাকারদের মাধ্যমে বেহাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এ ধরনের ঝুঁকি ও আশঙ্কা থেকেই নিরাপদ ইমেইল কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ জানায়, ১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে গত মার্চে ‘সরকারের জন্য নিরাপদ ইমেইল ও ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ স্থাপনসংক্রান্ত এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। উদ্দেশ্য হচ্ছে, সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য নিরাপদ ইমেইল সিস্টেম বাস্তবায়ন ও ব্যবহার নিশ্চিত করা। পাশাপাশি ইমেইল চালাচালিতে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিমুক্ত থাকার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টারও স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের পরিচালক মুজতবা সিরাজী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ইমেইল পরিচালনার হ্যাকাররা প্রতিনিয়ত ঝুঁকি তৈরি করছে। ইয়াহু-গুগল কোনো সার্চ ইঞ্জিনই এ ঝুঁকি থেকে মুক্ত নয়। আমরা এসব ঝুঁকির বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে নিরাপত্তা-দেয়াল গড়ে তুলব। ইমেইল পরিচালনায় নিরাপত্তা কাঠামোটি কীভাবে কাজ করবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রকল্প পরিচালক জানান, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আমরা এরই মধ্যে একটি ‘ডিজাইন’ তৈরি করেছি। এ ডিজাইনের আওতায় ১০ জন বিশেষজ্ঞ কাজ করবেন, যারা ইমেইল নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দেবেন। তাদের পরামর্শ নিয়েই আমরা নিরাপত্তা কাঠামোটি তৈরি করতে বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করব। প্রকল্প পরিচালক জানান, ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। সঠিকভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকেও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর