রবিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

নীলফামারীর নীলসাগরে অতিথি পাখির কলরব

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর নীলসাগরে অতিথি পাখির কলরব

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে নীলফামারীর নীলসাগর। অপরূপ প্রাকৃতিক  সৌন্দর্যের এই লীলাভূমিতে এসব পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনতে বিভিন্ন স্থান থেকে ভিড় করছেন নানা বয়সের দর্শনার্থী।

নীলফামারী শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে  গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা মৌজায় ৫৩ দশমিক ৬০ একর জমির ওপর অবস্থিত নীলসাগর। উত্তর-দক্ষিণে লম্বা এ দীঘিকে ঘিরে রয়েছে বহু উপাখ্যান ও রূপকথা। কথিত আছে, তৎকালীন বিরাট রাজার বসবাস ছিল এখানে। তার বিপুল গবাদি পশু ছিল। এ পশুগুলোকে স্নান ও পানি পান করানোর জন্য একটি দীঘি খনন করা হয়। রাজার নামানুসারের দীঘির নামকরণ হয় বিরাট দীঘি।

 অবশ্য কালের বিবর্তনে বিরাট দীঘিটি বিন্নাদীঘি নাম ধারণ করে। ১৯৯৮ সালে এ দীঘির নাম নীলফামারীর নামানুসারে নীলসাগর রাখা হয়। শীত মৌসুমে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমন ঘটে নীলসাগরে। এ সময় পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে নীলসাগর। পাখির কিচিরমিচির আর পানিতে ডানা ঝাপটানোর শব্দ নীরব নিথর গ্রামের নির্জনতা ভেঙে দেয়। সবুজ বৃক্ষরাজিতে চারদিক শোভিত এই নীলসাগরে অতিথি পাখির নৈঃসর্গিক সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে। এ  সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগমন ঘটে অনেক দর্শনাথীর। এবারও সেই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। পাখি ও পরিবেশ সুরক্ষায় কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেতুবন্ধনের প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর হোসেন জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো পরিযায়ীরা এসেছে। তারা চলমান ডিসেম্বও থেকে মার্চের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকবে। অতিথি পাখির মধ্যে অন্তত ৬৫টি প্রজাতির কয়েক হাজার পরিযায়ী রয়েছে। এই চার মাস অতিথি পাখিদের নিরাপদে রাখতে হবে। এ জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন জানান, শীতের শুরু থেকে নীলসাগরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অতিথি পাখিরা এসে ভিড় করছে। পাখিদের যাতে  কেউ শিকার করতে না পারে- এ জন্য প্রশাসনের পক্ষ  থেকে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর