বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে মূল আকর্ষণ লেমুর

মোস্তফা কাজল

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে মূল আকর্ষণ লেমুর

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের মূল আকর্ষণ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের মাদাগাস্কারের প্রাইমেট গোত্রভুক্ত বিরল বন্যপ্রাণী লেমুর। এ সাফারি পার্কের বিশেষ জোনের বাসিন্দা লেমুর দম্পতির পরিবারে এসেছে নতুন একজোড়া অতিথি। স্ত্রী লেমুরটি ফুটফুটে দুটি শাবক প্রসব করেছে। গত মাসের প্রথম সপ্তাহে শাবক দুটির জন্ম হলেও নিরাপত্তার কারণে এতদিন জানানো হয়নি। কয়েক দিন আগে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এ প্রাণী সাধারণত শীত অঞ্চলে দেখা যায়। নতুন দুই শাবক নিয়ে বর্তমানে সাফারি পার্কে লেমুরের সংখ্যা হলো চার। গত বছরের ৬ আগস্ট হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দও থেকে দুটি লেমুর উদ্ধার করা হয়। সেই লেমুর যুগল থেকেই এ দুই শাবকের জন্ম হয়েছে বলে জানায় পার্ক কর্তৃপক্ষ। লেমুর উদ্ধার করার পর জানা গেছে, পাচারের জন্য ট্রানজিট রুট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হয়। সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মো. রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এতদিন বাংলাদেশে লেমুর ছিল না। ভিন দেশের এই প্রাণী অনেকটা বানর ও হনুমানের মতো দেখতে। লেমুর অর্থ ভূতসদৃশ। অন্ধকারে এর মুখে আলো পড়লে ভূতের মতো দেখা যায় বলে লেমুর নামকরণ করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী বিশারদ ড. আবদুল ওয়াদুদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে লেমুর যুগল থেকে শাবকের জন্ম নেওয়ার খবরটা সত্যি আনন্দের। এ চারটি লেমুর থেকে প্রজনন বাড়ানো গেলে এ প্রাণীর বংশবিস্তার হতে পারে এ দেশে। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে সদ্য জন্ম নেওয়া বিরল লেমুরের শাবক দুটি ভালো আছে। চলাফেরা করছে বেস্টনির মধ্যে। নতুন প্রাণীদের দেখে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীদের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে। এ প্রাণীকে তিন বেলা পুষ্টিকর তরল দুধ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া শাবকের মাকে দেওয়া হচ্ছে ছোলা, আপেল, কলা ও মাল্টা। শাবকের জন্ম হওয়ায় সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ বেজায় খুশি। দেখভালের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিদিন লেমুরের শাবক দেখতে ভিড় করছেন নারী, শিশু ও কিশোর-কিশোরীসহ অসংখ্য দর্শক। বর্তমানে খোলা বাজারে এক জোড়া লেমুরের দাম প্রায় ৫০ লাখ টাকা।

সর্বশেষ খবর