সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
ঢাকায় নকল ওষুধ কারখানা

ইনসুলিন প্যাথেড্রিনসহ সবই বানায় ওরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান মিলেছে। ইনসুলিন, প্যাথেড্রিনসহ জীবনরক্ষাকারী বিভিন্ন ওষুধ নকল করার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরা দীর্ঘদিন ধরে একাধিক কোম্পানির নাম ও মোড়ক নকল করে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ওষুধ বাজারজাত করে আসছিল। আর তাদের সহায়তা করতেন ফার্মেসির এক শ্রেণির অসাধু মালিক। তবে ওইসব ওষুধের প্যাকেটে নামি-দামি কোম্পানির নাম দেখে নকল বোঝার কোনো সুযোগও নেই। সুকৌশলে ভালো ভালো কোম্পানির ও প্রতিষ্ঠানের নামের সিল মেরে নকল ওষুধগুলো বাজারে ছাড়া হতো। গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো- আবদুস সোবহান, নাঈমুর রহমান তুষার, রিয়াজুল ইসলাম মৃদুল, নারগিছ বেগম ও ওয়াহিদ। শনিবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ ও ফয়েল পেপার, নকল স্টিকারসহ ওষুধ তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আবদুল বাতেন বলেন, দেশে নানা অপরাধ সংঘটিত হয়।

অপরাধীরা নানা কৌশল অবলম্বন করে মানুষকে ঠকায়। কিন্তু ওষুধের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়কে সুকৌশলে নকল করে প্রতারণা করা হত্যার চেয়েও জঘন্য অপরাধ। ভাবতেও অবাক লাগে। যেটি প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। গ্রেফতারকৃতদের কাছে নকল ওষুধ বানানোর মেশিন, প্রিন্টার, স্ক্যান মেশিন, ২৫টি রঙের কৌটা, ২০টি ওষুধ তৈরির তারিখ ও মূল্য এবং ব্যাচ লেখার সিল, ৩০০ বোতল জেসন কোম্পানির সাদা পানি, তিনটি ড্রামে ৮৪ হাজার সেক্স পাওয়ার ক্যাপসুল, ৬৫টি ইনসুলিনসহ বিভিন্ন কোম্পানির নামে তৈরি করা সব ওষুধ জব্দ করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিখ্যাত ওষুধ কোম্পানি রেনেটার রোলাক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনসুলিন ও প্রিমিয়ার ফার্মাসিটিকেলসের এলার্ট টেবলেটসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নামে নকল ওষুধগুলো বাজারজাত করছিল। গ্রেফতার আবদুস সোবহান আগে একটি ল্যাবরেটরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছিল। সেখান থেকে নেওয়া অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সে এসব নকল ওষুধ তৈরির কাজে নামে। এ চক্রের পেছনে জড়িত বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। 

সর্বশেষ খবর