শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

সিঙ্গেল ডিজিটে ঋণ দিতে সঞ্চয়পত্রের সুদ হার কমাতে হবে

-আহমেদ আকবর সোবহান

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিঙ্গেল ডিজিটে ঋণ দিতে সঞ্চয়পত্রের সুদ হার কমাতে হবে

রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে গতকাল বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেডের সঙ্গে চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেট মেয়াদি ঋণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের এমডিসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেছেন, সিঙ্গেল ডিজিটে ব্যাংক ঋণ দিতে হলে সরকারের সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমাতে হবে। সঞ্চয়পত্রের সুদহার অনেক বেশি। দেশের আর্থিক উন্নয়ন সরকার, ব্যবসায়ী ও ব্যাংকারের সম্মিলিত প্রয়াস। তিন পক্ষকেই সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বসুন্ধরা গ্রুপ শুধু নিজের নয়, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

গতকাল রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেডের সঙ্গে চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেট মেয়াদি ঋণের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান, জনতা ব্যাংকের এমডি আবদুস ছালাম আজাদ, পূবালী ব্যাংকের এমডি এম এ হালিম চৌধুরী, ব্যাংক এশিয়ার এমডি আরফান আলী, এনআরবি ব্যাংকের ডিএমডি খোরশেদ আলম, উত্তরা ফিন্যান্সের এমডি শামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ মানুষের উপকার করেছে। এমনকি কৃষককেও মিলেনিয়ার বানিয়েছে। আমরা প্রথম যখন সিমেন্ট কোম্পানি করেছিলাম এর পরে ৯৭টি কোম্পানি হয়েছে। মানুষের আস্থা বসুন্ধরা সিমেন্ট এবং বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি অবিচল রয়েছে। দেশের সব বড় অবকাঠামোয় বসুন্ধরা গ্রুপের সিমেন্ট ব্যবহৃত হচ্ছে। কোয়ালিটির বিষয়ে আমরা কখনো আপস করিনি। শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের এই সফলতার পেছনে ব্যাংকারদের বড় ভূমিকা রয়েছে। আমার প্রতি ব্যাংকারদের যে আস্থা আশা করি ভবিষ্যতেও তা থাকবে। ব্যাংকারদের ভালো ব্যবসায়ীদের খুঁজে ঋণ দিতে হবে। বসুন্ধরা গ্রুপ কখনো ব্যাংকে ডিফল্টার হয়নি। অন্য কেউ ডিফল্টার হলে আমাদের ওপর চাপ পড়ে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পর্যটন খাত থেকে পাঁচ থেকে দশ বিলিয়ন টাকা আয় করতে পারে। আমরা চট্টগ্রামে একটি থিম পার্ক করার চিন্তাভাবনা করছি। এখান থেকে বিপুল পরিমাণ আয় সম্ভব। দেশের অন্যান্য জায়গায়ও পর্যটনে উন্নয়ন করার সুযোগ রয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ২৮৫ কোটি টাকার সিন্ডিকেশন অর্থায়নের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জে বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের সিমেন্ট প্লান্ট বর্ধিতকরণ হবে। এতে অর্থায়ন করবে পাঁচ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে জনতা ব্যাংক ৯৫ কোটি, ব্যাংক এশিয়া ৫০ কোটি, পূবালী ব্যাংক ৬০ কোটি, এনআরবি ব্যাংক ৩০ কোটি ও উত্তরা ফিন্যান্স ৫০ কোটি টাকা। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে কোম্পানির চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীগণ। প্রকল্পটির বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা দুই দশমিক এক মিলিয়ন মেট্রিক টন থেকে তিন মিলিয়নে উন্নীত হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় আনুমানিক ৪৪৮ কোটি টাকা।

সর্বশেষ খবর