রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

চূড়ান্ত লড়াইয়ে পাঁচ প্রার্থী

উত্তর সিটিতে আজ প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচনের চূড়ান্ত লড়াইয়ে থাকছেন পাঁচ প্রার্থী। তারা হলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির শাফিন আহমেদ, পিডিপির শাহীন খান, এনপিপির আনিসুর রহমান দেওয়ান ও স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আবদুর রহিম।

মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলেও গতকাল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে এনডিএমের প্রার্থী ববি হাজ্জাজ তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে চূড়ান্ত ভোটের লড়াইয়ে থাকলেন পাঁচজন প্রার্থী। আজ ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী ও দুই সিটির চূড়ান্ত কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসাররা। এর পর প্রার্থীরা আজ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নামবেন।

এ বিষয়ে উত্তর সিটির রিটার্নিং অফিসার আবুল কাসেম বলেন, মেয়র পদে চূড়ান্ত প্রার্থী পাঁচজন। ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে এনডিএমের প্রার্থী ববি হাজ্জাজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। দক্ষিণ সিটির সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. ইউসুফ-উর-রহমান বলেন, দক্ষিণে কাউন্সিলর পদে চূড়ান্ত প্রার্থী ১২৫ জন, বৈধ প্রার্থী ছিলেন ১৪৯ জন, প্রত্যাহার করেছেন ২৪জন। আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে চূড়ান্ত প্রার্থী ২৪জন, বৈধ প্রার্থী ছিলেন ২৫জন, প্রত্যাহার করেছেন ১জন। আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য ডিএনসিসিতে মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের জন্য গত বছর তফসিল হলেও আদালতে তা আটকে গিয়েছিল। সম্প্র্রতি আদালতের সায় পাওয়ার পর আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন  রেখে গত ২২ জানুয়ারি পুনঃতফসিল দেওয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে উপনির্বাচনের সঙ্গে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডেও ভোট হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। ঢাকা উত্তরে ৯ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদেও উপনির্বাচন হবে একই দিন।

মেয়াদের বাকি সময়ের জন্য জনপ্রতিনিধি : প্রায় দুই বছর ধরে মেয়রের দায়িত্ব পালনের মধ্যেই ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর আনিসুল হকের মৃত্যু হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছর মেয়াদ থাকে শপথ  নেওয়া জনপ্রতিনিধিদের। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল  ভোটের পর মেয়র হিসেবে মে মাসে শপথ নেন আনিসুল হক। আর সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা  থেকে পাঁচ বছর মেয়াদ থাকে জনপ্রতিনিধিদের। ইসি কর্মকর্তারা এরই মধ্যে জানিয়েছেন, উপনির্বাচনে যিনি  মেয়র হবেন, তিনি ওই মেয়াদের বাকি সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। সেক্ষেত্রে নতুন যোগ হওয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মেয়াদও মেয়রের মতো সিটি করপোরেশনের বাকি সময়ের জন্য হবে।

সর্বশেষ খবর