সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

নদী দখল উচ্ছেদ অভিযানে সমন্বয়ের তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার চারপাশের নদী তীর দখল ও দূষণরোধে পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে বিআইডব্লিউটিএ, সিটি করপোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা ওয়াসা, পরিবেশ অধিদফতর, নৌপরিবহন অধিদফতর ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দখল ও দূষণ প্রতিরোধকল্পে চলমান উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে গতকাল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র  মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মো. আফজাল, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ ২০১০ থেকে ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ  নদী বন্দরের তীরভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১২,৮৬৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ৫২১.৬২ একর তীরভূমি দখলমুক্ত করেছে। ঢাকা নদী বন্দরের আওতাধীন কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ২৯ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত ১,১৯৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ১০ একর তীরভূমি উদ্ধার করেছে। এইসঙ্গে নদী তীর যেন অবৈধভাবে দখল হয়ে না যায় সেজন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিআইডব্লিউটিএ নদীর সীমানা নির্ধারণ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গি নদী বন্দর এলাকায় ৯,৫৭৭টি সীমানা পিলার স্থাপন করেছে। এগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৪,০৬৩টি, নারায়ণগঞ্জে ৫,০১১টি ও  টঙ্গীতে ৫০৩টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। সভায় আরও জানানো হয়, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গি নদী বন্দর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৪৬টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের নেতৃত্বে শিগগিরই বৈঠক করা হবে। ঢাকার চারপাশের বৃত্তাকার নৌপথে ১৩টি নিচু ব্রিজ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর