রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
ঐতিহ্য

শালবন বিহারে উপচে পড়া ভিড়

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

শালবন বিহারে উপচে পড়া ভিড়

কুমিল্লা শালবন বৌদ্ধ বিহার পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। বর্তমানে শালবন বৌদ্ধ বিহারে দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। শীতের মৌসুমে এখানে বেশি ভিড় থাকে। শালবন বৌদ্ধ বিহারসহ পাশের রূপবানমুড়া ও কোটিলামুড়ায় আশপাশের জেলা ও সারা দেশের দর্শনার্থী ভিড় করছেন। কুমিল্লা মহানগরী থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কুমিল্লা আসার জন্য রেল ও সড়কপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা থাকায় দর্শনার্থীরা এখানে সহজে আসতে পারেন। এখানে অষ্টম শতকের পুরাকীর্তি রয়েছে। রয়েছে ময়নামতি জাদুঘর। জাদুঘরের পাশে রয়েছে বন বিভাগের পিকনিক স্পট। শালবন বিহারের পাশে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর এলাকা এখন সরগরম। সেখানে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। বিহারে শিশুদের নিয়ে প্রবেশ করেছেন অভিভাবকরা, বিহারের ভিতরে শিশুরা ছোটাছুটি করছে। কেউ কেউ স্বজনদের নিয়ে মোবাইল ফোনে ছবি কিংবা সেলফি তুলছে। বিহারের পাশে দেখা গেছে দর্শনার্থীর দুই শতাধিক বাস ও মাইক্রোবাস। বাসের মাইকে বাজছে বিভিন্ন ধরনের গান। বেসরকারি কটেজে চলছে রান্না। চলছে কুইজ ও র‌্যাফেল ড্র। পরিবার নিয়ে ফেনী থেকে আসা জামাল হোসেন জানান, শালবন বৌদ্ধ বিহার এলাকাটি অনেক সুন্দর।

পুরাকীর্তি দেখার সঙ্গে সঙ্গে এখানে সবুজের সতেজতায় প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। এখানে গণশৌচাগার সংকট এবং সড়কের দুরবস্থা মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে। প্রয়োজনীয় হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হলে পর্যটনে কুমিল্লা আরও বেশি সফলতা অর্জন করতে পারবে। কুমিল্লার শিক্ষাবিদ এহতেশাম হায়দার চৌধুরী বলেন, শালবন বিহারসহ অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বেড়ানোর মতো দারুণ জায়গা। এগুলো সুরক্ষিত করা গেলে সরকারের রাজস্ব আরও বাড়বে।

শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টডিয়ান আহমেদ আবদুল্লাহ জানান, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি- এ তিন মাস এখানে দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় থাকে। গত দুই দিনে আয় হয়েছে ২ লক্ষাধিক টাকা। গণশৌচাগার নির্মাণসহ আরও কিছু সংস্কার করা গেলে দর্শনার্থী আরও বাড়বে।

 

সর্বশেষ খবর