সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা

খুলনার হাসপাতালে রোগীরা দালালদের হাতে জিম্মি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

দালাল ও প্রতারক চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন খুলনার তিন সরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা। এ অবস্থায় তাদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল ও সদর হাসপাতাল ঘিরে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব সেন্টারের প্রায় ১ হাজার দালাল সক্রিয়। গ্রামাঞ্চল থেকে আসা অসহায় রোগীরা এদের খপ্পরে পড়ে চিকিৎসার নামে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। এদিকে সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ছে। সে তুলনায় শয্যা সংকটসহ পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসক না থাকায় অতিরিক্ত রোগী সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই সংকটকে কাজে লাগিয়ে ‘হাসপাতালে ভালো সিট’ দেওয়ার কথা বলে রোগীদের টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ দালাল চক্র। এছাড়া হাসপাতালের ‘চিকিৎসা সরঞ্জাম নষ্ট, কম খরচে সরকারি হাসপাতালের ভালো চিকিৎসক ও উন্নত মেশিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা’র কথা বলে রোগী ভাগিয়ে নেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কমিশনভিত্তিক চুক্তিও থাকে। ফলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা প্রতারিত হচ্ছেন। এসব গতকাল খুলনা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে দালাল চক্রের ৬ সদস্যকে আটকও করেছে পুলিশ। হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন সিদ্দিকুর রহমান (৪২), আলাউদ্দিন আলাল (২৬), আসমা খাতুন (৪৩), রেহেনা খাতুন (৩৫), তাসলীমা বেগম (৪০) ও চম্পা খাতুন (৩২)। এদের কাছ থেকে বিভিন্ন চিকিৎসক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৭২টি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এসব বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (আরসিডি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, আটককৃতরা দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালে দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, দালাল চক্র হাসপাতালে আসা রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। তবে এখন তা’ অনেক কমেছে। পাশাপাশি দালাল মুক্ত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর