শিরোনাম
সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
ধর্ষণের পর কলেজছাত্রী হত্যা

কিশোরগঞ্জে পুলিশসহ দুজনের ফাঁসি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জে দুই কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে আদালত পুলিশসহ দুজনকে ফাঁসি ও ছয়জনকে চার বছর করে কারাদ- দিয়েছে। ফাঁসির দ-প্রাপ্তদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অপর আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ কিরণ শংকর হালদার গতকাল এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি মোস্তফা মীর, জয়নাল আবেদীন ও দিলবর হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ফাঁসির দ-প্রাপ্তসহ বাকিরা পলাতক রয়েছেন। ফাঁসির দ-প্রাপ্তরা হলেন পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান মনির ওরফে হলুদ ও ব্যবসায়ী শামীম হাওলাদার। অন্যরা হলেন মোস্তফা মীর, আবুল হোসেন, বাবুল মিয়া, জয়নাল আবেদীন, কবির হোসেন ও দিলবর হোসেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী আফরোজা আক্তার ঊর্মি ও তার বান্ধবী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আফরোজা আক্তার সুমি ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই নিখোঁজ হন। পরিবারের সদস্যরা পরে জানতে পারেন কিশোরগঞ্জে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান (৩০) ও তার বন্ধু ঝালকাঠির ব্যবসায়ী শামীম হাওলাদার (৩৮) তাদের অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আসামিরা তাদের ঢাকার একটি হোটেলে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে হত্যা করে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। হোটেল কর্তৃপক্ষ পরে কর্মচারীদের সহায়তায় লাশ গুম করে ঢাকার দুটি ঝিলে ফেলে দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করে বেওয়ারিশ হিসেবে ঢাকায় দাফন করে। নিহত আফরোজা আক্তার ঊর্মি কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্ব তারাপাশা এলাকার আইনজীবী নূরুন্নবীর মেয়ে এবং আফরোজা আক্তার সুমি শহরের গাইটাল এলাকার স্কুলশিক্ষক আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে। এ ব্যাপারে আফরোজা আক্তার সুমির বাবা আবু বকর সিদ্দিক কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তরিত হয়। ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

সর্বশেষ খবর