শিরোনাম
শনিবার, ২ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা

ডাক্তার আসেন ইচ্ছেমতো রোগীরা ভোগান্তিতে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ হাসপাতাল

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসকরা আসেন ইচ্ছেমতো। যখন তাদের হাসপাতালে থাকার কথা তখন তারা থাকেন না বললেই চলে। ফলে ভুগছেন রোগীরা।

অভিযোগ অনুযায়ী, ডাক্তারদের কারণে রোগীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। হাসপাতালের নোংরা ও দুর্গন্ধময় পরিবেশও তাদের ভয়ানকভাবে ভোগায়। তবে কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ৫০ শয্যা থেকে আড়াইশ শয্যায় উন্নীত এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা চলছে আগের জনবল দিয়েই। আড়াইশ শয্যার জনবল পাওয়া গেলে রোগীদের চিকিৎসাসেবায় সমস্যা হতো না।

এদিকে সরেজমিন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, রোগীদের বিছানার চাদর নিয়মিত পরিষ্কার না করায় ময়লা চাদরেই তাদের থাকতে হচ্ছে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হলেও তাদের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তেমন সহযোগিতা করেন না। এসব রোগীদের একমাত্র ভরসা কর্তব্যরত নার্সরা। হাসপাতালে কর্মরত দু-একজন ছাড়া অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বেলা ১১টার আগে হাসপাতালে আসেন না এবং দুপুর ১২টার আগে রোগীর চিকিৎসা করেন না। এসব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ইচ্ছামতো হাসপাতালে আসা-যাওয়া করেন এবং পার্শ্ববর্তী প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে বেশি সময় রোগী দেখেন। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের জন্য তাদের চেম্বারের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। শুধু তাই নয়, কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন। জানা গেছে, হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসককে (আরএমও) হাসপাতাল ক্যাম্পাসে থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কোনো আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) সেখানে বসবাস করছেন না। অথচ লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত আরএমওর বাসভবন ফাঁকা পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। হাসপাতালে আরএমওর সার্বক্ষণিক অবস্থান না থাকায় হাসপাতালের ভর্তি রোগীরা পড়েন দুর্ভোগে। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. সায়ফুল ফেরদৌস মো. খায়রুল আতাতুর্ক জানান, এ হাসপাতালে ২১ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৯ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। তাই অল্প সংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। আর দীর্ঘদিন আরএমওর পদ শূন্য থাকায় একজনকে ভারপ্রাপ্ত আরএমওর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনি হাসপাতাল কোয়ার্টারে থাকেন না।

সর্বশেষ খবর