রবিবার, ৩ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

এক প্রতারক চক্রই হাতিয়ে নিল ১০০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ীদের টার্গেট করত প্রতারক চক্রটি। পরে তাদের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে শেয়ারহোল্ডার বানানোর লোভনীয় অফার দেওয়া হতো। অফারে ভিকটিমরা রাজি হলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যেত চক্রটি। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে  দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাপান-বাংলাদেশ কোম্পানির নামে একেক সময় একেক কৌশল অবলম্বন করে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে আসছে এ চক্রটি। যারা এরই মধ্যে প্রতারণার মাধ্যমে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীর কাছ  থেকে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান মুফতি মাহমুদ খান এ তথ্য জানান। এর আগে, শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর, দারুস সালাম, উত্তরা ও রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব ওই প্রতারক চক্রের ২২ সদস্যকে আটক করে। গ্রেফতারকৃতদের কয়েকজন হলেন, ইমরান হাসান (২৭), হুমায়ুন কবির হালিম (৫৭), মো. রফিকুল ইসলাম (৪৯) আবদুল বারী আবদুল আউয়াল (৪০), শাহাদাত হোসেন (৩০), মো. মিনহাজ (৫৬), কামরুজ্জামান (৪৬), মো. হাবিবুর রহমান (৩৫), সঞ্জিত সাহা (৩৪), মেহেদি হাসান হাবিব (৩১) ইউসুফ (৫৩), মামুনুর রশীদ চৌধুরী (৩৪), মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ওরফে আবদুল জলিল (৫০),  মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান (৩৫), মো. রফিকুল ইসলাম  (৬৪) এবং মো. মিজান (৩৫)।

মুফতি মাহমুদ জানান, সুসজ্জিত অফিস ও দামি গাড়ি ভাড়া নিয়ে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির নামে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অফিস খুলত চক্রটি। পরে টার্গেট করা  লোকদের কৌশলে অফিসে এনে ভুয়া চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে নিত তারা। তাদের বলা হতো এই চুক্তির মাধ্যমে তাদের কোম্পানির উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরে কিছুদিন যাওয়ার পর তাদের কোম্পানির শেয়ার  হোল্ডার করার প্রস্তাব দেওয়া হতো চক্রটির পক্ষ থেকে। প্রস্তাবে ভিকটিমরা রাজি হলে তাদের কাছে  মোটা অঙ্কের টাকা চাইত চক্রের সদস্যরা। পরে নগদ অর্থ হাতে পাওয়ার পর প্রতারক চক্রের সদস্যরা উধাও হয়ে যেত।

সর্বশেষ খবর