পাইপলাইনে প্রাকৃতিক গ্যাস আবাসিক খাতে ব্যবহারের জন্য আর দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, পাইপলাইনে মূল্যবান গ্যাসের অপচয় হয়। একই সঙ্গে গ্যাস চুরি হয়। তাই আর কোনো নতুন সংযোগ দেওয়া হবে না। গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) দুই দিনব্যাপী সাউথ এশিয়ান এলপিজি সামিট-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) খাতের ব্যবসায়ীদের দাম কমিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে জনগণকে জ্বালানি সরবরাহ করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, বিগত বছরগুলোতে এলপি গ্যাসের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইপলাইনে প্রাকৃতিক গ্যাস আবাসিক খাতে ব্যবহারের জন্য আর দেওয়া হচ্ছে না। ৬০টি কোম্পানিকে প্রাথমিক এলপিজি আমদানি ও বটলিং করার অনুমতি দেওয়া হলেও ২২টি কোম্পানি এলপিজি বিপণন কাজে নিয়োজিত আছে। বেসরকারি কোম্পানিগুলো ইচ্ছামতো এলপিজির দাম বাড়াচ্ছে। গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছানোর আগে বেশ কয়েকজনের হাত ঘোরার কারণেও দাম বাড়ছে। বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের মনোপলি ব্যবসা রোধ করতে সরকারি খাতের কোম্পানি এলপি গ্যাস লিমিটেডকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এলপিজি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে অচিরেই নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্তরা এলপিজি ব্যবহার করেন। সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি নিশ্চিত করতে চায় সরকার। কিন্তু বাসাবাড়ির চুলার জন্য বাজারে থাকা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস-এলপিজির দাম বিশ্ববাজারের তুলনায় অনেক বেশি। সমন্বিতভাবে গ্রাহকদের সচেতন করার উদ্যোগ নিতে হবে। সিলিন্ডারগুলোতে ট্র্যাকিং করার উদ্যোগ নিলে কার সিলিন্ডার কোথায় কী অবস্থায় আছে তা জানা যাবে। অনুষ্ঠানে বিপিসির চেয়ারম্যান মো. শামসুর রহমান, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রি. জে. আলী আহমেদ খান, এলপিজি অপারেটস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আজম জে চৌধুরী, এফবিসিসিআইর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ও ওয়ার্ল্ড এলপিজি অ্যাসোসিয়েশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিখায়েল কেল্লি উপস্থিত ছিলেন। এবারের সামিটে দেশি-বিদেশি ৮০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সামিট সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
