শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

সংসদের সমান ব্যয় হচ্ছে উপজেলা ভোটে

৫ দিনের জন্য থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

গোলাম রাব্বানী

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে ৭৫০ কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে। ১০ মার্চ থেকে চার ধাপে এবার উপজেলা ভোট হচ্ছে। দেশের ৪৯২ উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে ৮৬, দ্বিতীয় ধাপে ১২৪, তৃতীয় ধাপে ১২৭ ও চতুর্থ ধাপে ১২২ উপজেলায় ভোট হবে। জুনে বাকি উপজেলায় ভোটের কথা রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের বাজেট শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এনামুল হক জানান, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭৫০ কোটি টাকার বেশি খরচ ধরা হয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি ও আইনশৃঙ্খলায় ৪৫০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। ইসির কর্মকর্তারা জানান, এ বাজেট বরাদ্দ সর্বশেষ ২০১৪ সালে পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ব্যয়ের প্রায় দ্বিগুণ। পাঁচ বছর আগে উপজেলা ভোটে প্রায় ৩৭৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। তাতে নিরাপত্তা ব্যয় ছিল প্রায় ২০০ কোটি টাকা; পরিচালনায় ব্যয় হয় ১৭৩ কোটি টাকা।

২০০৯ সালে এক দিনে উপজেলা ভোট হয়েছিল। সেবার খরচ হয় প্রায় ১৩৩ কোটি টাকা; যার মধ্যে আইনশৃঙ্খলায় ৪৯ কোটি ও পরিচালনায় ৮৪ কোটি টাকা। এবার ইভিএমে প্রথমবারের মতো উপজেলাগুলোয় ভোট হচ্ছে। এজন্য ইভিএম, ট্যাব ও আনুষঙ্গিক কাজে আরও ১৩০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনের সমান ব্যয় হচ্ছে উপজেলা ভোটে। ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে ৭৬৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ৩০০ কোটি, নিরাপত্তা খাতে ব্যয় হয় ৪৬৪ কোটি টাকা। পাঁচ বছরের মাথায় নির্বাচনী ব্যয় দ্বিগুণ হওয়ার বিষয়ে ইসির বাজেট শাখার কর্মকর্তারা জানান, ধাপে ধাপে ভোট, নির্বাচনসামগ্রী, নির্বাচন কর্মকর্তাদের ভাতা, ভোট কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক ব্যয়ও বেড়েছে।

পাঁচ দিনের জন্য মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক পরিপত্র জারি করা হয়েছে। ১০, ১৮, ২৪ ও ৩১ মার্চ- এ চার ধাপের ভোট রয়েছে। ভোটের আগে দুই দিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরে দুই দিন- এ পাঁচ দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, আর্মড পুলিশ, ব্যাটালিয়ান আনসার থাকবে শৃঙ্খলা রক্ষায়। গ্রামপুলিশও থাকবে ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায়। নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম থাকবেন আচরণবিধি প্রতিপালনে। রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন-পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তাব্যবস্থা নেবেন।

৩২ ঘণ্টা আগে প্রচারণা শেষ, সাত দিন আগে বৈধ অস্ত্র বহনও নিষিদ্ধ : ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে ভোটের সাত দিন আগে থেকে বৈধ অস্ত্র লাইসেন্সধারীদের অস্ত্র বহন, প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর