সোমবার, ১১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইথিওপীয় বিমান বিধ্বস্ত ১৫৭ আরোহী নিহত

প্রতিদিন ডেস্ক

ইথিওপীয় বিমান বিধ্বস্ত ১৫৭ আরোহী নিহত

বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ

১৫৭ জন আরোহী নিয়ে আদ্দিস আবাবা থেকে নাইরোবি যাওয়ার পথে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমান আরোহীদের সবাই মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে চীনসহ ৩৩টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি।

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, স্থানীয় সময় গতকাল সকাল পৌনে ৯টার দিকে আদ্দিস আবাবার ৬২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বিশোফটু শহরের কাছে ইটি ৩০২ ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়। এটি বোয়িং ৭৩৭-৮০ ম্যাক্স বিমান ছিল। সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটের দিকে আদ্দিস আবাবার বোলে বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে ফ্লাইটটি। এর কয়েক মিনিট পরই (৮টা ৪৪ মিনিট) নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানটিতে ১৪৯ জন যাত্রী ও আটজন কেবিন ক্রু ছিলেন। এক বিবৃতিতে ইথিওপীয় এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের কার্যালয় থেকে এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে একটি টুইট করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ : বিমানটি যখন বিধ্বস্ত হয় তখন প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে চারপাশ। এর পরপরই বিমানটি ঢেকে যায় আগুনের লেলিহান শিখায়। বিমান বিধ্বস্তের চার ঘণ্টা পর উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও বাঁচাতে পারেননি কাউকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের মাত্রা ও আগুনের তীব্রতা এত  বেশি ছিল যে ওই সময় আশপাশের লোকজন বিধ্বস্ত বিমানটির কাছে যেতে পারেননি। বিবিসির আদ্দিস আবাবা প্রতিনিধি জিবাত তামিরাত বিশোফটুর কাছে এক ব্যক্তি জানান, তিনি বিমানটির বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানের কাছেই অবস্থান করছিলেন। সকাল পৌনে ৯টার দিকে হঠাৎ প্রচ- বিস্ফোরণের পর আগুনের কু-লি দেখা যায়। দুর্ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছান বেলা ১১টার দিকে। পরে সেখানে চারটি হেলিকপ্টার পৌঁছে। বিমানের এক আরোহীর মেয়ে উইন্ডি ওটিয়েনো বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বিমান বিধ্বস্তের ব্যাপারে কেউ আমাদের কিছু জানায়নি। আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি শুধু ভালো কিছুর আশায়। আমি মায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা আশা করছি, তিনি অন্য কোনো ফ্লাইটে আসবেন অথবা ফ্লাইট বাতিল করবেন। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করছেন না।’ প্রসঙ্গত, আফ্রিকা মহাদেশে এই এয়ারলাইনসের বিমান বেশ জনপ্রিয়। নিরাপত্তার দিক থেকে এগুলোর সুনাম রয়েছে। অবশ্য, ২০১০ সালে  কোম্পানিটির একটি বিমান বৈরুত থেকে যাত্রা করার পর পরই ভূমধ্যসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছিল। ওই ঘটনায় বিমানের ৯০ আরোহীর প্রাণহানি হয়। এর আগে ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে আদ্দিস আবাবা  থেকে নাইরোবি যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিল ইথিওপীয় এয়ারলাইনসের একটি বিমান। ওই বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় একটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপরও বিমানটি জরুরিভাবে পানিতে অবতরণের প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন পাইলট। তবে শেষ পর্যন্ত বিমানটি ভারত মহাসাগরে একটি প্রবাল প্রাচীরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে বিমানে থাকা ১৭৫ আরোহীর মধ্যে ১২৩ জন প্রাণ হারান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর