বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
চকবাজার ট্র্যাজেডি

আরও পাঁচজনের পরিচয় মিলল, মর্গেই পাওয়া গেল দোলাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আরও পাঁচজনের পরিচয় মিলল, মর্গেই পাওয়া গেল দোলাকে

দোলা

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুনে দগ্ধ আরও ৫টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে স্বজনদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা নমুনার সঙ্গে মিল পাওয়া না যাওয়ায় দুটি লাশকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সংস্থাটির সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন। শনাক্ত হওয়া ৫ জন হলেন- ইসমাইল হোসেন (৬০), জাফর (৪৩), ফয়সাল সরোয়ার (৫৩), মোস্তফা (৩৯) ও রেহনুমা তাবাসসুম দোলা (১৯)।

শেখ হিমায়েত হোসেন বলেন, প্রথমে ২০টি লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। পরে এ সংখ্যা ১৮ তে দাঁড়ায়। যে দুটি লাশের পরিচয় বের করা সম্ভব হয়নি সেগুলোর ডিএনএ প্রোফাইল সম্পন্ন করে রাখা আছে। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি লাশ উদ্ধারের পর বলা হয়েছিল ৬৭টির কথা। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি আরও একটি পুড়ে যাওয়া হাত উদ্ধার করা হয়। তা নিয়ে লাশের সংখ্যা ধরা হয়েছিল ৬৮টি।

মর্গেই পাওয়া গেল নিখোঁজ দোলাকে : বৃষ্টির বাবার পর এবার অপেক্ষার পালা থামল দোলার বাবা দলিদুল রহমানের। আদরের মেয়েকে ফিরে পেতে অধীর আগ্রহে ছিলেন তিনি। তবে পেয়েছেন, জীবিত নয়, পোড়া মাংসের টুকরো নিয়েই নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। নিখোঁজ মেয়ের সন্ধান পেলেন হাসপাতালের মর্গেই। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান শেষে পুরান ঢাকায় ফিরছিলেন ফাতেমাতুজ জোহরা বৃষ্টি ও তার বান্ধবী রেহনুমা তাবাসসুম দোলা। ঘটনার কিছু সময় আগেও তারা কথা বলেছেন পরিবারের সঙ্গে। ওই সড়কেই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে র পর থেকে নিখোঁজ এই দুই তরুণী। লাশ পেতে সবখানে ঘুরেছিলেন স্বজনরা। ধ্বংসস্তূপ, হাসপাতাল, মর্গ কোথাও বাকি রাখেননি।  

লাশ শনাক্ত হওয়ার পর গতকাল দুপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মেয়ের লাশ বুঝে নেন দলিলুর রহমান। এর আগে গত ৫ মার্চ শনাক্ত হয়েছিল বৃষ্টির লাশটিও। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ সংলগ্ন কক্ষ থেকে স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল পুড়ে অঙ্গার হওয়া লাশগুলো শনাক্তের জন্য। এ কারণে দলিলুর রহমানের মনে শঙ্কাও ছিল। তাই সিআইডির কাছে তিনি ডিএনএ নমুনা দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই নমুনা মিলেছে। নমুনা মেলার পরই আজ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে আসতে বলা হয় দলিলুর রহমানকে। নিজের ছোট মেয়েটিকে সঙ্গে করে দোলার লাশ বুঝে নিতে যান তিনি।

সর্বশেষ খবর