বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠান তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে চাই। শুধু ঢাকা শহর বা দেশের বড় বড় শহরে যেন এটা সীমাবদ্ধ না থাকে। আমরা চাই সারা দেশের মানুষ এর মাধ্যমেই সঠিক ইতিহাস জানুক।’ গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি— বাস্তবায়ন কমিটির যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ইতিমধ্যে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে তা যথাযথভাবে উদ্যাপনে বিশিষ্টজনদের নিয়ে ১০২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি এবং বাস্তবায়নের জন্য ৬১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করেছে। গতকাল ছিল কমিটি দুটির প্রথম যৌথ বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মার্চ মাসটা আমাদের জন্য খুবই অর্থবহ মাস। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন। আবার ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। কাজেই ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত বছরটাই আমরা মুজিববর্ষ হিসেবে উদ্যাপন করব। এ ক্ষেত্রে আমাদের কী কী করণীয়? আমাদের সমাজের বিশিষ্টজন যারা এখানে উপস্থিত আছেন এবং আমরা ১০২ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করে দিয়েছি। হয়তো আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাম আমাদের এ কমিটিতে থাকা দরকার। সেভাবে থাকলে আমরা তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করব। এ ছাড়া ৬১ সদস্যবিশিষ্ট আলাদা একটি কমিটি করে দিয়েছি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে সিদ্ধান্তগুলো নেব, সেগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কাজ করবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ভাগে ভাগে কমিটি করা প্রয়োজন। সে ব্যাপারেও আপনাদের পরামর্শ নেব। কারণ এটা আমরা জাতীয়ভাবে পালন করব। এ ক্ষেত্রে আপনাদের অভিমত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া দল হিসেবেও আওয়ামী লীগের একটা আলাদা কমিটি করেছি।’

বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি তাঁর জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় এ দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে কাটিয়েছেন। মানুষের ওপর অত্যাচার-শোষণ-বঞ্চনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে দিনের পর দিন কারাবরণ করেছেন। আমরা সন্তান হিসেবে পিতৃস্নেহ-বঞ্চিত হয়েছি।’ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে সবার অভিমতের ভিত্তিতে বিভিন্ন উপকমিটি করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সেখানে আপনাদের দায়িত্ব দিয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে কী কী করণীয়, তা আমরা নির্দিষ্ট করব। কেননা, এটা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। তা ছাড়া, আমরা দল হিসেবেও আওয়ামী লীগের আলাদা একটা কমিটি করেছি। সে ক্ষেত্রে আপনাদের মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর আমাদের হাতেও সময় খুব বেশি নেই। কারণ, নির্বাচনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে র জন্য আমাদের বেশকিছু সময় পেরিয়ে গেছে।’ অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও মতিয়া চৌধুরী; জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্র্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বৈঠকে নিজ নিজ অভিমত ব্যক্ত করেন। অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর