অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ডলার দর নির্ধারণে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই নেওয়া হয়েছে। যার কারণে ডলার বাজারে হঠাৎ বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এ বিভ্রান্তির কারণেই ডলারের দরও লাগামহীনভাবে বাড়ছে। কিছু ব্যাংক ডলার ধরে রাখছে। যারা ডলার এভাবে মজুদ করছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জামাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রলিং পেগ ঘোষণা করার আগেই পরিকল্পনা নেওয়ার দরকার ছিল। এই পরিকল্পনা কমপক্ষে তিন মাস আগে করার উচিত। তিন মাস আগে যদি ঘোষণা করত যে আগামী বছর বা কোনো নির্দিষ্ট সময়ে এটা কার্যকর করবে তাহলে বিভ্রান্তি ছড়াত না। পরিকল্পনায় থাকা উচিত ছিল, নির্দিষ্ট সময় কত শতাংশ টাকা অবমূল্যায়ন করবে। যদি ১০ শতাংশ করার পরিকল্পনা নেয় সেটা হওয়া উচিত এক বছরে প্রতি কোয়ার্টার ভাগ করে আড়াই শতাংশ কিংবা এরকম কোনো পদ্ধতি। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে। ফলে যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে তার জন্য ডলার দর নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে। এখন এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা ডলার মজুদ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমদানি খরচে বাড়তি অর্থ গুনতে হবে ব্যবসায়ীদের। সেটা মূল্যস্ফীতি বাড়াবে। মূল্যস্ফীতি তৈরি করবে। তাই ডলারের দর নিয়ন্ত্রণ রাখা খুব জরুরি। ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি বা আতঙ্ক তৈরি না করে সেজন্য কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজার ডলারের স্বাভাবিক সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। কার্ব মার্কেটে যারা আতঙ্ক ছড়ায় তাদের বিষয়ে সচেতন দৃষ্টি রাখা জরুরি।