সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ছাড়াও বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। কেন এবং কারা বিক্ষোভ করেছে তা জানতে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে মিশনগুলোকে বাংলাদেশের আন্দোলন কেন্দ্র করে হওয়া বিক্ষোভের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের বার্তা দেওয়া হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করে মিশনগুলোকে সদর দপ্তর ঢাকায় প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের বিষয়ে জেনেছি, তাই বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছি। আমরা জানতে চেয়েছি কারা, কী বিষয়ে বিক্ষোভ করছে। এ নিয়ে মিশনগুলো যে দেশে কাজ করে, সেখানকার সরকারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের জানাবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশি বাংলাদেশ মিশনগুলোয় অন্তত ছয়টি চিঠি পাঠিয়েছে। তিনি জানান, মিশনগুলোর প্রতি প্রধান নির্দেশনা হচ্ছে, প্রবাসীরা যাতে গুজব ও বিভ্রান্তির শিকার না হন। প্রায় প্রতিটি চিঠিতেই মিশনগুলোকে দায়িত্ব পালনরত দেশের সরকারের সঙ্গে যুক্ততার পাশাপাশি সেখানকার চিন্তক প্রতিষ্ঠান, গবেষক ও বিদেশি গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন এসেছে। সেই প্রতিবেদনের পাল্টা হিসেবে আমাদের বক্তব্য যাতে তুলে ধরে, সেটি চিঠিতে বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য বলছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আমিরাত এবং সৌদিতে প্রায় ৭০ জনের মতো বাংলাদেশি নাগরিক আটকের তথ্য এসেছে গণমাধ্যমে। এর মধ্যে আমিরাত সরকার ৫৭ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। এ ছাড়া সৌদিতে ১০ জন আটকের তথ্য শোনা যাচ্ছে।