দুই সপ্তাহ পর অবশেষে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেওয়া হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয় জনপ্রিয় এ সামাজিক মাধ্যমগুলো।
গতকাল দুপুরে বিটিআরসি ভবনে ফেসবুক ও টিকটকের সঙ্গে বৈঠকের পর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান। এর কিছুক্ষণ পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব সোশ্যাল মিডিয়া ফের চালু হতে শুরু করে বলে জানান ব্যবহারকারীরা। প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, যেসব সামাজিক মাধ্যমের কর্মকান্ডের জন্য আমরা সাময়িকভাবে কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছিলাম, সার্বিক বিবেচনায় সেগুলো প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গুজব ও অপপ্রচার’ বন্ধে সরকারের তরফ থেকে কোম্পানিগুলোকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় এসব কোম্পানির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার কথা এর আগে সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক। গতকাল প্রতিমন্ত্রী ফেসবুকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন। টিকটকের প্রতিনিধিরা সশরীরে বিটিআরসি ভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন। আর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বৈঠকের জন্য আরেক দিন সময় চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত ১৭ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরের দিন সহিংসতার মাত্রা ছাড়ালে ১৮ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায় এবং ওইদিন থেকে বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ ছিল।